অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে শিশু খাদ্যসহ নানা ধরনের খাদ্য সামগ্রী
মোঃ হানিফ মাদবর (স্টাফ রিপোর্টার)
গ্রাম কিংবা শহর সর্বত্র বেকারির তৈরি খাবারের কমবেশি চাহিদা রয়েছে, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষজন এবং শিশুদের চাহিদার বেশিরভাগটাই জুড়ে রয়েছে এসব বেকারি খাদ্য। আর এই সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে দিনের পর দিন তৈরি করছে নিম্ন মানের খাদ্য সামগ্রী। প্রায় প্রতিটি দোকানে পাওয়া যায় কেক, হরেকরকমের বিস্কুট, চানাচুর, পাউরুটি, বাটারবন, মিষ্টি, সন্দেশ ইত্যাদি। এসব পণ্য জনপ্রিয় হলেও এর মান নিয়ে জনমনে রয়েছে নানা প্রশ্ন।
অভিযোগ রয়েছে, গাজীপুর কাপাসিয়ার বেশিরভাগ বেকারির কারখানায় এসব খাবার তৈরি হয় অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে, যেগুলো বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই বাজারজাত করা হয়। গত ২৬ মে কাপাসিয়ার চালা বাজার এলাকার খুচরা দোকান ব্যবসায়ী মোঃ রফিক মিয়ার অভিযোগে চালা বাজারে অবস্থিত “খাজা বাবা” বেকারিতে সরেজমিনে গেলে তার সত্যতা মেলে। সেখানে মেয়াদ উত্তীর্ণ মালামাল সহ নিম্নমানের উপকরণ (বিষাক্ত কেমিক্যাল) দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বিস্কুট, চানাচুর, পাউরুটি, বাটারবন, মিষ্টি, সন্দেশসহ বিভিন্ন বেকারির পণ্য। কারখানার ভেতরে যেখানে তৈরি করা খাবার রাখা আছে, সেখানেই ময়দা ও আটার বস্তা ছড়ানো ছিটানো। পাশে রাখা আছে জ্বালানির কাঠও।
সঙ্গে রয়েছে মানবদেহের ক্ষতিকারক কেমিক্যাল এবং পামওয়েল তেলের ড্রাম। যেসব কর্মচারী এসব পণ্য তৈরি করছেন, তাঁদের খালি শরীর থেকে ঝরছে ঘাম। প্যাকেট ভর্তি বিষাক্ত কেমিক্যাল সম্পর্কে জানতে চাইলে বেকারির ম্যানেজার মোঃ লুৎফর রহমান এর কোন সদুত্তর দিতে পারেননি এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ মালামালের কথা জিজ্ঞেস করতেই বেকারির ঘর মালিক মোঃ শহীদুল্লাহ্ তেড়ে আসে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে শহীদুল্লাহর ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন ধরে এখানে অবাধে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিম্নমানের দ্রব্যাধির মাধ্যমে বেকারির পন্য তৈরি করে বাজারজাত করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই বেকারির খাবার খেয়ে অনেক মানুষ পেটব্যথা, আমাশয়সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম গোলাম মোর্শেদ খাঁন জানান, মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়। খাদ্য নীতিমালা অমান্য করলে তাঁদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।