উচ্চ তাপমাত্রার মধ্যেও থেমে নেই ভোরের সাথীর সদস্যরা
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ে গরমের মধ্যেও শরীরের সুস্থতার জন্য নিয়মিত ব্যায়ম চালু রেখেছে “ভোরের সাথী” নামক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠে একত্রে হয়ে টিম আকারে শারীরিক নানা কসরতের মাধ্যমে ফিট থাকার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কয়েকদিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে সকালে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠে জনসাধারণের হাটাচলা কিছুটা কমেছে। সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ভোরের সাথী ও ঠাকুরগাঁও মর্নিং ক্লাব।
বৃহস্পতিবার ভোরে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠে গিয়ে দেখা যায়, এই গরমের মধ্যেও ভোরের সাথী টিমের সদস্যরা ব্যায়াম করছেন। প্রায় ২৫/৩০ জন সদস্য দলবেধে বিভিন্ন কসরতের মাধ্যমে ব্যয়াম করছেন। এদের মধ্যে একজন দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিয়ে একটি ব্যায়াম করেন পরে সকলে তাকে অনুসরন করে সেই ব্যায়ামটি করে থাকেন। বিভিন্ন বয়সী মানুষজন এতে অংশ নেন।
ভোরের সাথীর সদস্য ইউনিয়ন সহকারী ভূমী কর্মকর্তা মোঃ রাশেদুজ্জামান মলয় বলেন, বিভিন্ন বয়সী মানুষজন নিজের শরীরকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করছেন। ২০১৪ সালে গুটি কয়েকজন মানুষ এই কাজটি শুরু করলেও বর্তমানে একটি বড় ধরনের সংগঠন গড়ে তোলা হয়েছে। পূর্বে ৫০-৬০ জন সদস্য থাকলেও ক্রমেই তা বাড়তে শুরু করেছে। বর্তমানে ভোরের সাথী টিমের সদস্য সংখ্যা প্রায় দেড় শতাধিক।
তিনি আরও জানান, সদস্যদের মধ্যে সরকারী-বেসরকারী চাকুরীজীবী, বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, এনজিও কর্মী, শিক্ষক, ব্যবসায়ি, চিকিৎসক, শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষজন রয়েছে। সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে সাধারণ মানুষজন বিভিন্ন রোগে ভুগে থাকেন। সেই রোগ থেকে মুক্তির জন্য নিয়মিত ব্যায়ামটিকে বেছে নিয়েছেন তারা। ফলাফলও পাচ্ছেন। অনেকেই নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতাকে পিছনে ফেলে কিছুটা সুস্থতা বোধ করছেন।
সংগঠনের সভাপতি ও সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, তাপমাত্রা কোন বিষয় নয়, শরীর সুস্থ রাখতে আমরা নিয়মিত ব্যায়াম করে চলেছি। ২০১৪ সালে অল্প কিছু মানুষ নিয়ে এ সংগঠন গঠন করি। কিন্তু ধীরে ধীরে আমাদের সদস্য সংখ্যা বাড়তে থাকে। আমরা প্রতিদিন সকালে বড় মাঠে মিলিত হয়ে বিভিন্ন শারীরিক কসরতের ফলে শরীরকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করি। বিশেষ করে মধ্য ও বয়স্ক মানুষদের শরীরে নানা সমস্যা যেমন, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিকস, বাত ব্যাথা, এজমায় আক্রান্ত। এখানে নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে উল্লেখিত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সুফল পাচ্ছেন।
এ ব্যপারে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ নাঈম মিনহাজ কৌশিক বলেন, ভোরের সাথীর সদস্যদের নিয়মিত ব্যায়ামের বিষয়টি দেখেছি। এ জাতীয় ভাল কাজকে সকলে সাধুবাদ জানাবে। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে তাদের ওই রোগের ঝুঁকি কমে যায়।