ঢাকাThursday , 26 September 2024
  1. অগ্নিকান্ড
  2. অনুষ্ঠান
  3. অপরাধ
  4. অবৈধ বালু উত্তোলন
  5. অভিনন্দন
  6. অভিযোগ
  7. অর্থনীতি
  8. আইন ও বিচার
  9. আওয়ামী লীগ
  10. আওয়ামী লীগে
  11. আক্রান্ত
  12. আটক
  13. আত্মহত্যা
  14. আদালত
  15. আনন্দ মিছিল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ সাবেক ছাত্রনেতা ও আমাদের আবেদন

Link Copied!

একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ সাবেক ছাত্রনেতা ও আমাদের আবেদন

মোঃ হাসানুর জামান বাবু

রাজনীতি কী, কাদের জন্য রাজনীতি বা কারা হবেন রাজনীতিবিদ- এ রকম প্রশ্ন মাঝেমধ্যে মনের ভেতর ঘুরপাক খেলেও এর সঠিক উত্তর খুঁজে পাই না। নিজের সাধারণ বিবেক যা বলে, বাস্তবে দেখতে পাই তার উল্টোটা। আমার স্বল্প জ্ঞানে এতটুকু বুঝতে পারি, রাজনীতি অর্থ সেবা দেওয়া এবং সেটা অবশ্যই জনগণের সেবা। মানুষের কল্যাণ ও অধিকারের নিশ্চয়তা বিধান করাই হলো রাজনীতি। আর একজন সত্যিকারের রাজনীতিবিদের কাছে রাজনীতি হবে একটি পেশা নয়, জনগণকে সেবা দেওয়ার নেশা। তাদের মধ্যে থাকবে প্যাশন বা গভীর আবেগ।

থাকবে দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতনতা। একজন নেতার থাকবে নৈতিক মেরুদণ্ড এবং নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারণা। তাকে হতে হবে সৎ, নির্লোভ ও আদর্শবান। তাকে শুধু ক্ষমতার জন্য বুভুক্ষু থাকলে হবে না। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনীতিবিদের মধ্যে সেসব গুণ প্রায় অনুপস্থিত। গণমানুষ নয়, শুধুই ব্যক্তিসর্বস্ব রাজনীতি। আদর্শের বালাই নেই। বিভিন্ন দলে কোন্দল, আদর্শবিচ্যুতি। এ কারণে রাজনীতি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সবকিছুর নিয়ন্তা হলেও তা মানুষকে এখন আর সেভাবে স্পর্শ করেনা।

এক দশক আগেও কোনো না কোনোভাবে রাজনীতি মানুষকে ভাবাতো। রাজনৈতিক মতপার্থক্য সত্ত্বেও আগের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মাঝে সৌজন্যবোধ, সম্প্রীতি, সহমর্মিতা ও পারস্পরিক সহানুভূতির ঘাটতি ছিল না। এখন সে জায়গাগুলো উধাও। তাই বর্তমান রাজনীতি নিয়ে মানুষ বীতশ্রদ্ধ। উচ্চশিক্ষিত ও মেধাবী তরুণ প্রজন্ম রাজনীতিতে আসতে চাইছে না। সেই জায়গাটা দখল করে নিচ্ছে স্বল্পশিক্ষিত দুর্বৃত্ত শ্রেণি চাটুকার অবৈধ পন্থায় ইনকাম করা টাকার কুমিররা।

তবে আশার কথা হলো এখনো বাংলাদেশের রাজনীতিতে সৎ, আদর্শবান অনেক নেতা রয়েছেন, যারা দেশের সম্পদ আর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয়। তারা নিজেদের সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়ে কেবল মানুষের স্বার্থের রাজনীতি করেন। লোভ, প্রতিহিংসা, ক্ষমতার দাপটের পরিবর্তে সততা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আর সেবার মানসিকতা তাদের মধ্যে বিরাজমান। তারা ব্যক্তিস্বার্থের উর্ধ্বে রেখেছেন রাজনীতিকে। তবে সততা বজায় রাখতে গিয়ে পদে পদে তাদের প্রতিবন্ধকতা ও বঞ্চনার শিকার হয়েছেন এবং  হতে হচ্ছে। তার পরও নিজ আদর্শে অটল ও অবিচল তারা।

আজ এমনই একজন রাজনীতিবিদের কথা লিখছি, যাকে খুব কাছে থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে । তিনি হলেন প্রিয় মুখ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম পটিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক,পটিয়া উপজেলা কুসুমপুরা ইউনিয়নের সাবেক একাধিকার নির্বাচিত সফল চেয়ারম্যান, কুসুমপুরা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, হুলাইন ছালেহ্ নূর ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, একেবারে তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন মেধাবী চৌকশ বিচক্ষণ কৌশলী দলও দেশপ্রেমী ছাত্রনেতা জননেতা আলহাজ্ব রেজাউল করিম নেছার।

সর্বদা হাস্যোজ্জ্বল, ব্যক্তিত্বে অমায়িক, কথাবার্তায় বিনয়ী, চলাফেরায় নম্র ও দরাজ কণ্ঠের অধিকারী রেজাউল করিম নেছার ভাই  একজন ব্যবসায়ী ও সফল রাজনীতিবিদ, সফল সংগঠক ও আলোকিত মানুষ। শহীদ জিয়ার  হাতে গড়া জাতীয়তাবাদ দল বিএনপির রাজনীতির অনুসরণ, অনুকরণ ও মনেপ্রাণে অন্তঃকরণের পর ছাত্রজীবন থেকেই প্রাতিষ্ঠানিক রাজনীতির চর্চায় মনোনিবেশ করেন তিনি।ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজের আগামনী বার্তাটা পৌঁছে দেন সকলের মাঝে। তিনি শুধু ছাত্র হিসেবে মেধাবী তাই নয়, তিনি রাজনীতিতেও প্রজ্ঞা ও মেধার বিকাশ ঘটিয়ে এগিয়ে গেছেন বীরর্পে। ছাত্রদল বিএনপির রাজনীতির সংগ্রামী এই সাবেক ছাত্রনেতা তৃনমূল থেকে রাজনীতির সর্বোচ্চ পর্যায়ে বিচরণ করছেন।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ও পটিয়া উপজেলা  যেনো তার অস্তিত্ব ও হৃদয়জুড়ে। তার মননে, মগজে একাকার হয়ে আছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ও পটিয়ার  মাটি ও মানুষ। যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলার সময়ও দেখেছি, অবধারিতভাবেই তার মুখ থেকে বের হয়ে গেছে পটিয়ার  প্রসঙ্গ। শেকড়ের প্রতি, এলাকার প্রতি, এলাকাবাসীর প্রতি এমন দরদ, মমতা, আবেগ আর অকৃত্রিম ভালোবাসা কোনো রাজনীতিবিদের থাকতে পারে, সেটা রেজাউল করিম নেছার  ভাইকে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। কী করলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা  সারা দেশের মধ্যে রোলমডেল হবে, কী করলে দক্ষিণ জেলাবাসী স্বস্তি ও শান্তিতে বসবাস করতে পারবে, কী করলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার  মানুষ সম্মানিত হবে, কী করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দক্ষিণ জেলার জনগণকে মনপ্রাণ দিয়ে আগলে রাখবে সেসব চিন্তা-চেতনা, ভাবনা, স্বপ্ন সারাক্ষণ তাকে বিভোর করে রাখে। তাই তো চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ও তার নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম-১২ পটিয়ার মানুষ  তাকে একান্ত আপন করে নিয়েছেন। তাদের সুখ-দুঃখে, বিপদ-আপদে সর্বাগ্রে প্রিয় নেতারই সান্নিধ্য কামনা করেন তারা।

চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা  ইউনিয়নের এক মধ্যবিত্ত  পরিবারের সন্তান জননেতা আলহাজ্ব রেজাউল করিম নেছার।তিনি বুকে টেনে নেন নিয়েছেন কুসুমপুরা ইউনিয়নের জনগণকে,তাই কুসুমপুরার জনগণ তাকে ছাত্রাবস্থা থেকে বারবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। জননেতা নেছার ভাইও  ক্লান্ত-শ্রান্ত-ঘর্মাক্ত কৃষক-শ্রমিককে আর আপন করে নেন আপামর জনতাকে। শুধুই তার নিজের ইউনিয়ন নয় তিনি একান্তে কথা বলেন পটিয়ার মাটির সঙ্গে, বাতাসের সঙ্গে আর স্বপ্ন দেখেন পটিয়াকে নিয়ে। পটিয়াবাসীও তাকে কাছে টেনে নেন, সুখ-দুঃখের গল্প শোনান। তাকে ঘিরে নিজেদের আশা-আকাঙ্খার স্বপ্ন বুনতে থাকেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তাদের স্বপ্নেরা ডালপালা মেলতে থাকে। তাদের মধ্যে বিশ্বাস জন্মায়, তাই তো নারী-পুরুষনির্বিশেষে দলে দলে মানুষ নেছার   ভাইয়ের ভক্ত, অনুরাগী ও শুভাকাঙ্খীতে পরিণত হয়। তারা আগামীতে ভালোবাসা শ্রম মেধা  দিয়ে তাদের প্রিয় নেতাকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলায় আরো বড় পরিসরে পদপদবী’র চেয়ারে দেখতে চান।

ফল ধারণ করার পর বৃক্ষ যেমন নুয়ে পড়ে, আমাদের বিশ্বাস চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলায় গুরুদায়িত্ব পাওয়া পর এখনের চেয়ে তিনি আরো বিনয়ী ও বিনম্র হয়ে যাবেন। পটিয়ার বাইরে এলাকা তথা পুরো চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলায় ও দেশের কল্যাণে ভূমিকা রাখার নিরন্তর প্রয়াস চালাবেন। তার মেধাবী নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা  বিএনপির সকল প্রকার গ্রুপিং মতপার্থক্য মিটিয়ে দলকে যেমন সুসংগঠিত করবেন,তেমনি  উন্নয়নের ছোঁয়াও লাগবে। রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, মক্তব-মাদ্রাসা-এতিমখানা, মন্দির, হাসপাতাল, পৌরসভা, অবহেলিত পটিয়ার ১৭ ইউনিয়নের সকল এলাকা সর্বত্র উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করবেন বলে আমাদের প্রত্যাশা। এলাকার বিভিন্ন সংগঠন, ক্লাব, সমিতি কোনো কিছুই বঞ্চিত হবে না। বিদ্যুতের ব্যবস্থা, খেলাধুলার আয়োজন, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, ধর্মীয় সমাবেশ, নানা রোগীদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা, এতিম ও অনাথদের পাশে দাঁড়ানো, অসহায় ও দরিদ্র মানুষকে যেভাবে সহায়তা করেছেন এখন যেনো তা নেশায় পরিণত হয়। জন্ম-মৃত্যু, জানাজা, দুর্ঘটনা, বিয়েশাদি, ওয়াজ-মাহফিল, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরস্কার বিতরণী তথা প্রতিটি উপলক্ষে জননেতা আলহাজ্ব রেজাউল করিম নেছার  ভাইয়ের উপস্থিতি আগে যেমন ছিল এখন তারচেয়ে আরও বেশী বিদ্যমান থাকবে বলে আমরা আশাবাদী।

সবকিছু বিবেচনা করে আমরা চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সর্বস্তরের মানুষ বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের তিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশমাতা বেগম খালেদাজিয়া ও দেশনায়ক প্রিয়নেতা তারেক রহমান ও বিএনপি হাইকমান্ডের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান আবেদন ও অনুরোধ করছি আমাদের প্রিয় নেতা জননেতা আলহাজ্ব রেজাউল করিম নেছার ভাইকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি আসন্ন গঠিত হতে যাওয়া কমিটিতে যেকোনো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত করা হলে এলাকার উন্নয়ন ও দেশ সেবা এবং সদ্য ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন করে নতুন আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে তিনি আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি এবং তার মেধাবী প্রজ্ঞাময় চৌকশ নেতৃত্বে বর্তমানে একাধিবিভক্ত বিএনপি যুবদল ছাত্রদল অঙ্গও সহযোগী সংগঠনকে একত্রিত করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সবকটি আসন বিএনপি ও ধানের শীষ মার্কা জয় সুনিশ্চিত করতে পারবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।  আমাদের আবেদনটি সদয় বিবেচনার জন্য অনুরোধ করছি।
লেখক:-মিডিয়া কর্মীও ক্রীড়া সংগঠক।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।

Design & Developed by: BD IT HOST