কটিয়াদীর করগাঁঁওয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে নিয়ে সংঘর্ষে ২৩জন আহত
রতন ঘোষ, কটিয়াদী প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার করগাঁও ইউনিয়ন এবং ভাট্টা এলাকার মাঝামাঝি স্থানে দুপক্ষের সংঘর্ষে ২৩জন আহত হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও লাঠি চার্জ করে। আহতদের কয়েকজন কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল সহ অন্যান্য চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানা যায়।
১২ই জুন বুধবার বিকেল থেকে করগাঁও ইউনিয়ন ও ভাট্টা এলাকার মাঝামাঝি স্থানে তালপাতা কেনাবেচা নিয়েদুপক্ষের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তবে এলাকায় এখনো থমথমে ভাব বিরাজ করছে।
পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে এবং ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আহত হয়ে উত্তর ভাট্টা গ্রামের সুরাইয়া বেগম( ৩২), আল আমিন (৩৮), সাইদুর রহমান (৪০), উজ্জ্বল ভূঁইয়া (৩৫),তারা পুলিশের রাবার বুলেটে আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। অন্যান্য আহতরা এলাকার বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা দিচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান নাদিম মোল্লা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য এবং অপরদিকে ৯ নং ওয়ার্ডের ভাট্টা এলাকার ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমানের মধ্যে পাওনা টাকা আদায় করা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হলে,কিছুদিন পূর্বে স্থানীয়ভাবে এ ঘটনাটি আপস মীমাংসার স্বার্থে বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাউদ্দিন, সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব:)
আআক্তারুজ্জামান রঞ্জন, সহ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ওবিভিন্ন রাজনৈতিক এবং সামাজিক নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে দরবার শুরু হলে সেখানেও কথা কাটাকাটি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হলে এক রণক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়। যার ফলে আপোষ দরবারটি পন্ড হয়ে যায়। সেই সময় পুলিশ উপস্থিত হয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করে। তারপর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজমান থাকা অবস্থায় চলমান সংঘর্ষের সূত্রপাত।
এ ব্যাপারে কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ দাউদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং বর্তমানে ঘটনাস্থলে শান্তি রক্ষার জন্য পুলিশ মোতায়েন আছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ জন্য আটক করা হয়েছে।