মোঃ শাহজাহান বাশার, স্টাফ রিপোর্টার
কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত মসজিদের দুইটি এসির মধ্যে একটি খুলে নিয়ে সহকারী পরিচালক রিয়াদ রায়হান আবিদের কক্ষে স্থাপন করার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের উপ পরিচালক মধুসূদন সরকারের বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরের কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয় থেকে জানা যায় সহকারী পরিচালক রিয়াদ রায়হান আবিদের কক্ষে এসি স্থাপন করা হচ্ছে।
কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক রিয়াদ রায়হান আবিদের কক্ষে এসি না থাকায় নতুন এসি ক্রয় না করে পাসপোর্ট অফিসের অভ্যন্তরে অবস্থিত মসজিদের এসি খুলে নিয়ে আসার নির্দেশ দেয় কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ পরিচালক মধুসূদন সরকার। উপ পরিচালকের নির্দেশে ইলেক্ট্রিশিয়ানরা এসে মসজিদ থেকে এসি খুলে নিয়ে এসে সহকারী পরিচালক রিয়াদ রায়হান আবিদের কক্ষে স্থাপন করে।
ইলেক্ট্রিশিয়ান সুমন বলেন, আমাকে বলছে মসজিদ থেকে একটি এসি খুলে এনে সহকারী পরিচালকের কক্ষে লাগানোর জন্য। তাই আমি মসজিদের এসি খুলে এনে এই কক্ষে লাগিয়েছি। কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী বলেন,সহকারী পরিচালক রিয়াদ রায়হান আবির স্যারে কক্ষে এসি ছিল না। তাই স্যারের ( উপ পরিচালক) নির্দেশে মসজিদ থেকে এসি খুলে এনে এই কক্ষে লাগানো হয়েছে।
মসজিদ থেকে এসি খুলে সহকারী পরিচালকের কক্ষে এসি স্থাপনের বিষয়টি কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ পরিচালক মধুসূদন সরকার বলেন, এইখানে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমি বলেছিলাম সভা-কক্ষের থেকে এসি খুলে এনে লাগানোর জন্য। কিন্তু তারা ভুলক্রমে মসজিদের এসি খুলে ফেলছে। পরে আমি আবার মিস্ত্রিদের দিয়ে সহকারী পরিচালকের কক্ষে লাগানো এসি খুলে মসজিদে স্থাপন করে দিয়েছি।
কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সেবা নিতে আসা সেবাগ্রহীতারা এবং পাসপোর্ট কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এই মসজিদে নামাজ আদায় করেন। মসজিদ নির্মাণের পর মসজিদে দুইটি এসি লাগানো হয়। পাসপোর্ট কার্যালয়ের উপ পরিচালক মধুসূদন সরকারের নির্দেশনায় মসজিদ থেকে একটি এসি খুলে নিয়ে সহকারী পরিচালক রিয়াদ রায়হান আবিরের রুমে স্থাপন করা হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে সহকারী পরিচালকের কক্ষ থেকে এসি খুলে নিয়ে পুনরায় মসজিদে লাগিয়ে দেয়া হয়।