খালেক চক্রের মাদক ও ফুঁ ফায় বিপাকে বাগেরহাট তেঁতুলিয়াবাসী
বিশেষ প্রতিবেদক
মাদক ব্যাবসা, ভন্ড কবিরাজিতে দিশেহারা বাগেরহাট, তেঁতুলিয়া ও করিচিয়ারবাসী। সেখানে বাগেরহাট বাজারের গায়ে কবরস্থান সংলগ্ন পুকুর পাড়ে গাঁজা সম্মেলন হয় নিয়মিত। প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর সম্মেলন শুরু হয়, চলে রাত ১১ টা পর্যন্ত। তেঁতুলিয়ার খালেক মোল্লার নেতৃত্বে এই সম্মেলন হয়। তার সেকেন্ড ইন কমান্ড আগ্নেয়াস্ত্র ব্যাবসায়ী বিপ্লব। ঘটনাটি যশোর সদর উপজেলার ১০ নং চাঁচড়া ইউনিয়নের বাগেরহাট বাজার সংলগ্ন তেঁতুলিয়া মৌযায়। কবরস্থানের পাশেই নিয়মিত ঘটছে এটি। ভন্ড কবিরাজ খালেক মোল্লার নেতৃত্বে দীর্ঘ ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে এসব চলছে।
স্থানীয়রা জানান, নিজেকে আওয়ামীলীগ নেতা দাবিকারী খালেক মোল্লা (৫৫) সেখানে শুক্রবার নামাজের আয়োজন করে। বেলা ১১টা থেকে সে ভন্ড কবিরাজি শুরু করে। বিভিন্ন মানতকারী ধর্মভীরু আসে। সে ফুঁ ফা দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়। তেঁতুলিয়ার রোস্তম মোল্লার ছেলে খালেক মোল্লা বিস্ফোরক, মাদক ইয়াবা মামলার আসামি ছিল। তবে এখন সেই মামলা গুলো কি অবস্থায় আছে তা এলাকাবাসী জানেনা। তেঁতুলিয়া বাগেরহাট বাজারের দক্ষিণ পাশে কবরস্থানটি অবস্থিত। কবরস্থানের পূর্ব পাশে পুকুরপাড়ে এই আখড়া সাধারণ মানুষের চরম দুশ্চিন্তার কারণ। তারা এই চক্রটির অপকর্মের প্রতিবাদ করতে পারে না। একদিকে মাদকদ্রব্য ইয়াবা, গাঁজা বিক্রি, অস্ত্র বিস্ফোরক বেচা কেনা, আরেকদিকে ভন্ড ফুঁ ফা এভাবেই চলছে খালেক মোল্লা ও তার দোসরদের আয় ইনকাম। বছরের পর বছর ধরে বিনা বাঁধায় চলছে খালেক গঙের সমাজ বিরোধী মাদক আখড়া ও ফুঁ ফা তাবিজ দেওয়ার ঢং কারবার।
খালেক মোল্লার সাথে থাকে তেঁতুলিয়ার নন্টু সরদারের ছেলে বিপ্লব, জঙ্গল ফকিরের ছেলে আকরাম ও হালিম, আতর আলীর ছেলে মহসিন, করিচিয়ার ইমামুলসহ আরো ২০/২৫ জন। এদের মধ্যে এক কেজি গাঁজাসহ কিছু দিন আগে পুলিশ এই ইমামুল কে আটকও করেছিল। স্থানীয়রা জানান, খালেকের ডেরায় চরমপন্থী চানপাড়া বাচ্চু, রেলগেটের সুইট, কটা খায়ের, লাউজনীর জলিল, রুহুল, চাঁচড়ার পান্নুসহ অনেক তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীর আসা যাওয়া ছিল। খালেকের সেকেন্ড ইন কমান্ড বিপ্লব (৩২) ৮/৯ টি মামলার আসামি। সে একজন আগ্নেয় অস্ত্র বিক্রেতা বলে গ্রামবাসী অভিযোগ করেছে। উঠতি বয়সীরা অনেকেই এই চক্রের কাছে জীম্মি হয়ে লেখাপড়া ছেড়ে অপরাধ জগতে জড়িয়ে যাচ্ছে। এটি একটি ভয়ানক সমস্যা। যা অভিভাবক মহলকে ভাবিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ করেছে।
তিন গ্রামের মানুষ খালেক মোল্লা, সেকেন্ড ইন কমান্ড বিপ্লব ও ওই অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক একশন দাবি করেছেন।