মাহাবুল ইসলাম:
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের শালদহ গ্রামে এক বাক প্রতিবন্ধীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের চা বিক্রেতা কাউছার আলীর বিরুদ্ধে।
শনিবার (৮ জুন), দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন বাক প্রতিবন্ধীর পরিবার।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার দিবাগত রাতে কাউছারের গতিবিধি সন্দেহজনক হলে রাতের বেলা বাক প্রতিবন্ধী নারীকে নিয়ে মাঠের দিকে যেতে দেখে সন্দেহ আরো গাঢ় থেকে গাঢ় হয়। পরে কয়েকজন লোক তার পিছু নেয়। লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দু’জন পালিয়ে গেলেও জনতার হাতে পাকড়াও হয় কাউছার। এসময় উপস্থিত জনগণ তাকেসহ বাক প্রতিবন্ধী ওই নারীকে মাঠ থেকে বাড়ি নিয়ে আসে। এরই মধ্যে ধর্ষণের ঘটনাটি জেনে যায় গোটা গ্রামের লোকজন। উৎসুক জনতা কাউছারের বাড়িতে ধাওয়া করে আসলে সে সুকৌশলে পালিয়ে যায়। ধর্ষণের শিকার বাক প্রতিবন্ধী ইশারা ইঙ্গিতে জানায়, তাকে টাকা দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যায় কাউছারসহ আরো দু’জন। মাঠের ভিতরে নিয়ে যাওয়ার পর তার হাতে ৭’শত টাকা গুজে দেওয়া হয়। ধর্ষকদের দেওয়া টাকা স্থানীয়দের প্রদর্শন করেন বাক প্রতিবন্ধী ওই নারী। এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় এলাকাবাসী বিচারের দাবিতে ফুসে উঠেছে। গ্রামের প্রতিটা চায়ের দোকানসহ গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে চলছে চা বিক্রেতা ও বাক প্রতিবন্ধী নারীকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
এঘটনায় গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) মনোজিৎ কুমার নন্দীকে ফোন করা হলে এখন অবধি কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।