গোবিন্দগঞ্জের তালুককানুপুরে পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও বসতবাড়ির জমি নিয়ে মিমাংসার অজুহাতে মারপিটে আহতের অভিযোগ
কালামানিক দেব, গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বসতবাড়িতে ভাংচুর এবং আপোষ-মিমাংসার বৈঠকে ডেকে নিয়ে আবারও মারপিটে আহতের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে তালুককানুপুর ইউপির মথুরাপুর গ্রামে। পূর্বাপর ঘটনায় ভুক্তভোগী আনারুল ইসলাম সোমবার (৩১ জুলাই) অভিযুক্ত শাহারুল, লেবু, রূপালী, রাকিব, নজরুলদের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত এজাহার জমা দিয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তরা ভাই, চাচা ও ভাই-বৌ ও ভাতিজা। দীর্ঘদিন পারিবারিক দ্বন্দ্ব-কলহে যুক্ত হয় বসতবাড়ির জমি নিয়ে পরস্পরবিরোধী শত্রুতা। এ শত্রুতার জেরেই গত শনিবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বসতবাড়ির বিবাদমান জমি বেদখলের উদ্দেশ্যে ফলজ চারাগাছ রোপণ করে। এ কাজে বাধা-নিষেধ করায় তারা ভুক্তভোগীর ডানকানে হালকা কাটা রক্তাক্ত জখম করে। পরের দিন রবিবার (৩০ জুলাই) ভোরে আবারও সংঘবদ্ধভাবে তারা চারা রোপণ করতে না পেরে বসতবাড়ির ঘর ও জিনিসপত্র ভাংচুর সহ চুরির ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনায় আপোষ-মিমাংসার কথা বলে সোমবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে ভুক্তভূগী ও তার স্ত্রীকে মারপিটে আহত করে। এসময় ৮ মাসের অন্তসত্ত্বা স্ত্রী তলপেটে লাথির কারণে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য গোবিন্দগঞ্জে পাঠায়।
ভুক্তভোগী আনারুল জানান, অন্তসত্ত্বা স্ত্রী গোবিন্দগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
গোবিন্দগঞ্জ থানায় এজাহার জমার বিষয়টি নিশ্চিত করে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ্ বলেন- তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।