চাদা না দেওয়ায় মির্জাপুরে মৎস্য ঘেরের বেড়িবাধ কেটে দেওয়ার অভিযোগ
মোঃ শাহিনুর রহমান শাহিন, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি:
৫ লক্ষ টাকা চাদা দিতে না পারায় ২’শ বিঘা মৎস্য ঘেরের বেড়িবাধ কেটে প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ০৯/০৬/২০২৪ তারিখে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মির্জাপুর এলাকার ক্যাসা ব্রিজ সংলগ্ন বিলে। এ ঘটনায় পাটকেলঘাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী মাহামুদপুর গ্রামের মৃত শেখ নিজাম উদ্দিনের ছেলে শেখ আইয়ুব আলী।
সরেজমিনে জানা যায়, বিগত ৬ বছর শেয়ারে জমি লিস নিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে মৎস্য ঘের করে আসছিলেন আইয়ুব আলীসহ কয়েকজন। এমতাবস্থায় একই এলাকার মৃত শেখ আঃ লতিফের ছেলে শেখ মনিরুজ্জামান মনি (৩৫) জোরপূর্বক ৫বছর জমির মালিকদের ঠিকমত হারির টাকা না দিয়ে ঘের করে আসছিল। এতে ক্ষিপ্ত ও অসন্তোষ হয়ে ১১৮ জন জমির মালিকের মধ্যে ১০৮ জন মনি’কে এবার জমি লিস দেয়নি।
কয়েকজন জমির মালিক ও ঘেরের শেয়ার থাকা ব্যক্তি জানান, চাদা না দেওয়া ও পূর্ব শত্রুতার জেরে মৃত শেখ মতিয়ার রহমানের ছেলে শেখ গোলাম জাকারিয়া (৩৮),মৃত শেখ আঃ লতিফের ছেলে শেখ মনিরুজ্জামান মনি (৩৫), মৃত শেখ আবতাব উদ্দিনের ছেলে শেখ রফিকুল ইসলাম ইছাক, শেখ আঃ কাদেরের ছেলে শেখ চঞ্চল (৩২), শেখ মোদাছেরের ছেলে শেখ মোস্তাক (৩৮),মৃত আবতাব উদ্দিনের ছেলে শেখ আব্দুল হামিদ, শেখ এরফান, মৃত আবতাব উদ্দিনের ছেলে শেখ জুলু, আলাউদ্দিনের ছেলে আরিফুল ইসলামসহ অজ্ঞাত ২০/২৫ জন লোক দলবদ্ধ অবস্থায় দা, লাঠি, শাবল, লোহার রড ও হাতুড়ি নিয়ে ঘেরের বেড়িবাধে এসে হুমকি ধামকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে তাদের ডাকে কেউ সাড়া না দিলে ঘের ও খালের মাঝে থাকা বেড়িবাধ কেটে দেয়।
এসময় তারা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরে নিয়ে যাওয়াসহ খালে উন্মুক্ত করে দেয়। এঘটনায় বর্তমান ঘেরের শেয়ার মালিকদের আনুমানিক ৭৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিসাধন হয়েছে মর্মে পাটকেলঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান ভুক্তভোগী শেখ আইয়ুব আলী।
এবিষয়ে জানতে চাইলে জাকারিয়া বলেন, এ অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা। পাঠসহ অন্য ফসল পানিতে ডুবে থাকার কারণে আমরা কুমিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম। চেয়ারম্যান গ্রাম পুলিশ পাঠিয়েছিল। তাদের উপস্থিতিতে বেড়িবাধ কেটে পাটা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
অভিযুক্ত মনিরুজ্জামান বলেন, ফসলের ক্ষতির কারণে গ্রামবাসীর পক্ষে আমরা ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দিলে আইয়ুব আলীরা হাজির হয়নি। চারজন গ্রাম পুলিশের উপস্থিতিতে বেড়িবাধ কাটা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শেখ আইয়ুব আলীসহ অন্য ভাগিদারেরা প্রসাশনের সুষ্ঠ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন।