বিশেষ প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় দুর্গন্ধযুক্ত , বিষাক্ত পদার্থ কাঁচা ব্রয়লারের লিটার দিনের বেলায় খোলা পরিবেশে বহন করতে নিষেধ করায় চ্যানেল টোয়েন্টির ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রতিনিধি ও এম এস টিভি ইউকের ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ ওবায়দুর রহমানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সদর উপজেলার ৯ নং রায়পুর ইউনিয়নের সিন্দুর্ণা গ্রামে এঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গত ৪ মার্চ দুপুরে নেকমরদ-ভাউলারহাট সড়কে একটি ব্যাটারী চালিত ভ্যানগাড়ীতে দুর্গন্ধযুক্ত অস্বাস্থ্যকর বিষাক্ত পদার্থ কাঁচা ব্রয়লারের লিটার বহন করতে দেখে এভাবে খোলা পরিবেশে বহন করা ঠিক নয় বলে ঐ ভ্যান চালকেক জানান গণমাধ্যম কর্মী ওবায়দুর রহমান। এর পর যে যার মতো গন্তব্য চলে যায়। এবিষয়ে কোন প্রকার নিউজ করেননি সাংবাদিক ওবায়দুর। এরপর পরদিন থেকে চ্যানেল টোয়েন্টির ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি মোঃ জয়নাল আবেদীনের ফোন নম্বরে ০১৭১৩৭৯১৪২১ থেকে ঐ এলাকার রাজু নামে এক ব্যক্তি ফোন করে সাংবাদিক ওবায়দুরকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদর্শন করে বলেন তার সাংবাদিকতা দেখে নিব, ওবায়দুরকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। সেইসাথে ওবায়দুর রহমানের ফোন নম্বরেও কল করে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেয় ঐ রাজু ও একই এলাকার ইউসুফ নামে এক ব্যক্তি। এ বিষয়ে সাংবাদিক ওবায়দুর রহমান গত ৯ মার্চ ঠাকুরগাঁও সদর থানা ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
উল্লেখ্য , গতকাল ৮ মার্চ শুক্রবার বেলা আনুমানিক পৌনে বারোটার দিকে, সাংবাদিক ওবায়দুর রহমানকে মাঠে কৃষি কাজ করতে দেখে অভিযুক্ত রাজু মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কল করে ২০/২৫ জন বখাটে লোকজন ডেকে সাংবাদিক ওবায়দুর রহমানের পথরোধ করে। সেখান থেকে ওবায়দুর রহমানকে আটক করে ধাক্কাধাক্কি করে এবং মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তারা। এসময় ওবায়দুর রহমানের চাচাতো ভাই মোঃ মর্তুজা আলী সহ গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে এসে ঐ রাজু ও ইউসুফের লোকজনদের হাত থেকে সাংবাদিক ওবায়দুর রহমানকে উদ্ধার করে। পরে রাজু ও তার লোকজন সাংবাদিক ওবায়দুর রহমানকে সময় ও জায়গায় মতো দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।
এবিষয়ে, ঐ লিটারের মালিক মুকুটের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ভ্যানগাড়ীতে লিটার বহন করার সময় সাংবাদিক ওবায়দুর রহমান আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। আমি তাৎক্ষণিক ভ্যানে থাকা লিটার ফেরৎ পাঠাই। রাজুর হুমকি দেওয়া এবং সাংবাদিক ওবায়দুর রহমানের ওপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবিষয়ে আমি রাজুকে কোন কিছু বলিনি বা কোন দায়িত্বও দেইনি। তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান। ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এ বি এম ফিরোজ ওয়াহিদ মুঠোফোনে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।