ঠাকুরগাঁয়ে মা ও শিশু ক্লিনিকে সিজারের রোগীর পায়ে গভীর ক্ষত।
স্টাফ রিপোর্টার
মোঃ নিজাম উদ্দিন
সাম্প্রতিক ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার মা ও শিশু ক্লিনিকের ডাক্তার মোঃ আবুল কাশেমের ভূল চিকিৎসায় সিজার রোগীর পায়ে গভীর ক্ষত।
ঠাকুরগাঁও হরিপুর উপজেলার মোঃ পারভেজের স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন কে ২৪ অক্টোবর ২০২৩ রাণীশংকৈল মা ও শিশু ক্লিনিকে সিজার করা হয় ।
ডাক্তার সিজার করলেও পায় ক্ষত কিভাবে হয়েছে বিষয়টি তাদের অজানা রয়ে গেল বলে জানিয়েছেন তারা।
বিষয়টি ভুক্তভোগীর পরিবার ডাক্তারের কাছে জানতে চাইলে তাদের সঙ্গে তিনি উত্তেজিত হন।
এ ব্যাপারে মা ও শিশু ক্লিনিকের ডাক্তার আবুল কাশেম এর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন।
আমরা রোগীকে অজ্ঞান করে তার পায়ে আর্থিন লাইন দিয়ে থাকি লাইনে ত্রুটি থাকার কারণে সেখানে শর্ট সার্কিট হয়ে পায় গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়।
এব্যাপারে ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জনের পরামর্শ চাইলে তিনি বলেন
সিজারের রোগীর পায়ে কত হওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না। হয়তোবা ডাক্তারের অবহেলায় ভুলবশত তার পায়ে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখব।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন বরাবর একটি দরখাস্ত দায়ের করেন। ঘটনার সততা যাচাই করার জন্য।
২৫ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ
সিভিল সার্জন এর তিনজন বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি তদন্ত করার জন্য মা ও শিশু হসপিটালে আসেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে বর্তমান পরিস্থিতি জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার স্ত্রী বর্তমানে অসুস্থ রয়েছেন,তার পায়ের ক্ষতস্থানে ইনফেকশন হয়েছে।
ক্লিনিকের পক্ষ থেকে আমরা কোনো সাহায্য পাইনি রোগী এখনো চিকিৎসা অবস্থায় রয়েছেন। একজন ডাক্তারের কাছে মানুষ নিরাপদ মনে করলেও আমরা সম্পূর্ণ ভিন্নরূপ দেখেছি ওখানে।
আমরা বর্তমানে চিকিৎসায় হিমশিম খাচ্ছি আর্থিকভাবে যথেষ্ট আমাদের ক্ষতি হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করছি।