হাফেজ মোহাম্মদ আসলাম, স্টাফ রিপোর্টার:
জমিয়ত সঠিক নিয়মেই চলছে; দলীয় ফোরাম ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত গৃহিত হবে না’ জমিয়তের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানাচ্ছি সভাপতি খালেক মাহমুদ আলহামদুল্লিাহ, জমিয়ত আগের চাইতে অনেক ভাল অবন্থানে আছে। সুন্দর-সুষ্ঠভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। জমিয়তের গঠনতন্ত্র রয়েছে, মজলিশে সুরা এবং আমেলা রয়েছে।
আলেমদের অন্যতম রাজনৈতিক প্লাটফরম জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাদের মধ্যে চলছে সুমধুর সম্পর্ক। গঠনতন্ত্র থেকে নির্বাহী সভাপতির পদ বাতিল হলো।
জমিয়ত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চলছে এবং আজীবন তাই চলবে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের আরো একটি ইতিবাচক স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- উপমহাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এই মকবুল কাফেলাই একমাত্র রাজনৈতিক দল-যারা লেজুর-বৃত্তিক রাজনীতি, কিংবা সাহেবজাদা নির্ভর নেতিবাচক রাজনৈতিক কালচার তথা আবর্জনা থেকে নিজেদের কার্যক্রমকে শত বছরব্যাপী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে পেরেছে। তবে কেউ হয়ত বলতে পারেন যে, ভারত- পাকিস্তান জমিয়তের ক্ষেত্রে একথা শতভাগ সত্য নয়। সেক্ষেত্রে আমার বক্তব্য হচ্ছে- উল্লেখিত দেশ দুটোতে জমিয়তের যে রাজনৈতিক উত্তরাধিকার আমরা দেখতে পাই, সেখানে রক্তের উত্তরাধিকারের মোটেও কোন স্থান ছিল না, বরং নিজ নিজ যোগ্যতা বলেই পরবর্তী প্রজন্মের কেউ কেউ সাংগঠনিক ধারাবাহিকতায় নেতৃত্বের আসনে উঠে এসেছেন।
সাহাবায়ে কেরাম রা. রাসুল সা.-র সমঝের উপর তাদের সমঝকে ন্যস্ত করেছিলেন। দ্বীন বর্ণনা নির্ভর, যুক্তি নির্ভর নয়। অতএব কারণে, এ কথার দাওয়াত দিয়েই উম্মতকে আবার আকাবির ও আসলাফের কাতারে সামিল করতে পারলেই দ্বীন সহীহভাবে বুঝা এবং পালন করা সম্ভব হবে। সাথে সাথে যেহেতু দাওয়াতের দ্বারা জযবা পয়দা হয়। আবেগ তৈরী হয়।যা কখনও স্থায়ী হয়না। তাই দাওয়াত দিয়ে সাপ্তাহিক, পাক্ষিক এবং মাসিক তালীমের হালকা বসাতে হবে। রাসুলে কারীম সা. একদিকে যেমন দাওয়াত দিয়েছেন। অপরদিকে তালীমের হালকা গঠন করে তাদের মধ্যে যেহনিয়্যাত পয়দা করেছেন এবং আদর্শের উপরে তাদের দৃঢ়পদ করেছেন। অতএব বাঙলাদেশ জমিয়তুল উলামার দ্বিতীয় কর্মসূচি হচ্ছে তালীম। তৃতীয় কর্মসূচি হলো ইনফাক ফি সাবিলিল্লাহ। ইনফাক ফি সাবিলিল্লাহর দ্বারাই আল্লাহর মোহাব্বাত ক্বলবে পয়দা হয় এবং দুনিয়ার মোহাব্বাত দুরিভূত হয়। কৃপনতা দুরিভূত হয় ইনফাক ফি সাবিলিল্লাহর মাধ্যমেই। কাজের প্রতি মোহাব্বত আল্লাহ ও রাসু্লের মোহাব্বত তথা দ্বীনের প্রতি মহাব্বতের জন্য একমাত্র অবলম্বন হচ্ছে অন্তর থেকে দুনিয়ার মোহাব্বত দূর করে আল্লাহ পাকের মোহাব্বত পয়দা করা।তাই বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার তৃতীয় কর্মসূচি হচ্ছে, ইনফাক ফি সাবিলিল্লাহ। এর মাধ্যমে দুনিয়ার মোহাব্বত বিদূরিত করে আল্লাহর মোহাব্বত গালেব করা। বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা চায় যে,আবার সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং মানবতা প্রতিষ্ঠার সাথে সঙ্গে সমাজকে আল্লাহমুখী করা। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে এবং বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামাকে কবুল করুন। আমীন! ইয়া রাব্বাল আলামীন।