ঢাকাMonday , 10 June 2024
  1. অগ্নিকান্ড
  2. অনুষ্ঠান
  3. অপরাধ
  4. অবৈধ বালু উত্তোলন
  5. অভিনন্দন
  6. অভিযোগ
  7. অর্থনীতি
  8. আইন ও বিচার
  9. আওয়ামী লীগ
  10. আওয়ামী লীগে
  11. আক্রান্ত
  12. আটক
  13. আত্মহত্যা
  14. আদালত
  15. আনন্দ মিছিল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দুপচাঁচিয়ায় লোহার টুং টাং শব্দে সরগরম কামারপল্লী

Link Copied!

দুপচাঁচিয়ায় লোহার টুং টাং শব্দে সরগরম কামারপল্লী

সুশান্ত মালাকার, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ

ক্ষুদ্র লৌহজাত শিল্পের উপর নির্ভরশীল পেশাদার কামাররা। মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তর অনুষ্ঠান পবিত্র ঈদুল আযহা। পবিত্র ঈদুল আযহার বাকি আর মাত্র ৭ দিন। দেশের চাঁদ দেখা কমিটি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৭ জুন সোমবার হতে পারে পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন বগুড়া দুপচাঁচিয়ার কামার পল্লীর কর্মকাররা। কোরবানির পশু জবাই করা ও মাংস কাটার জন্য চাপাতি, ছুরি, বটি, চাকু, ছোরা, দা ইত্যাদি কদর বেড়েছে। তাই এসব সরঞ্জাম তৈরি ও মেরামত এবং বিক্রিতে সরগরম উপজেলার কামারপল্লীগুলি। কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কর্মকারদের হাতুড়ির টুং টাং শব্দে সরগরম করে তুলেছেন বিভিন্ন জায়গার কামারপল্লী গুলি। কয়লার গনগনে আগুনে লোহাকে পুড়িয়ে পিটিয়ে তৈরি করেছেন দা, চাকু, বটি, ছুরি, চাপাতিসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রপাতি। কেউ এসেছেন পুরাতন দা, বটি, চুরি, চাপাতি, চাকু সহ বিভিন্ন অস্ত্রপাতি মেরামত করতে। কেউবা এসেছেন পুরাতন এসব যন্ত্রপাতি ধার দিতে, আবার কেউ এসেছেন নতুন এসব সরঞ্জাম কিনতে। কর্মকাররা বলছেন সারা বছর তাদের তেমন কাজ-কাম না থাকায় তেমন আয় রোজগার থাকে না। কোরবানির ঈদের আগে তাদের কদর একটু বাড়ে। এবং সেই সঙ্গে তাদের আয়ও একটু বাড়ে। উপজেলার বিভিন্ন হাট ও বাজার ঘুরে দেখা গেছে কর্মকারদের দম ফেলার সময় নেই। পশু জবাই করার বিভিন্ন সরঞ্জাম বানাতে দিনরাত চলছে ব্যস্ত সময়। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বাড়তি কাজের জন্য রেখেছেন অতিরিক্ত কাজের লোক, সারা বছর অলস সময় পার করলেও কোরবানি ঈদ উপলক্ষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামার শিল্পের কারিগররা। বিভিন্ন কামারপল্লী ঘুরে দেখা গেছে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে তাদের এই কর্মযজ্ঞ। কর্মকাররা বলছেন ঈদের আগের রাত পর্যন্ত চলবে কামারদের এই ব্যস্ততা। উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলে গিয়ে দেখা যায় কর্মকাররা কর্মচারী নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া ইউনিয়নের কইল গ্রামের কর্মকার সাধন চন্দ্র বলেন আমাদের এই কাজের আর কোন মান নেই, সারা বছর আমাদেরকে অলস সময় কাটাতে হয়। কোরবানি ঈদ আসলে আমাদের এই কাজের কদর একটু বাড়ে। তিনি আরো বলেন বাপ দাদার পেশাকে আঁকড়ে ধরে আছেন। কর্মকার দীপেন চন্দ্র জানান প্রতিবছর এই কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে তিনি ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি বলেন যদিও এ সময় ব্যস্ত থাকতে হয়, তার পরেও লোহার দাম বাড়ায় আমাদের তেমন কোন লাভ হয় না। কর্মকার রতন নামের এক ব্যবসায়ী জানান কামার শিল্পীদের দৈনিক মজুরি ও লোহার দাম বেড়ে যাওয়ায় এ বছর কিছুটা বেশি দামে এসব সরঞ্জাম ক্রয় ও বিক্রয় করতে হচ্ছে। উপজেলার আরও অনেক জায়গায় ঘুরে দেখা গেছে সকল কর্মকারদের একই অবস্থা। নাম বলতে অনিচ্ছুক অনেক কর্মকাররা জানান আমাদের এই শিল্প এখন ধ্বংসের পথে। কারণ চায়না থেকে আসা অত্যাধুনিক অস্ত্রপাতি আমাদের দেশে আশাতেই আমাদের এই কাজের কদর একেবারেই কমে গেছে। কোরবানি ঈদ আসলে কিছুটা কাজ আমাদের করতে হয়। বর্তমান বাজারে সবকিছু দাম বাড়ার কারণে আমাদের আর তেমন কোন লাভ হয় না। বাপ-দাদার পেশাকে ধরে রাখতেই আমরা এই কাজ করে যাচ্ছি।