দ্যা চেইঞ্জমেকার – আলম আহমেদ
হাবিবুর রহমান (হাবিব)
রাজধানী থেকে মাত্র ৬৫ কিলোমিটার উত্তরে এক অবহেলিত জনপদ ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা গাজীপুরের এই কাপাসিয়া। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কাপাসিয়ার নাম। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দিন আহমেদের জন্ম এখানে। আবদুল বাতেন খানের (বীর প্রতীক) কথাও বলতে হয়, তিনি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
পাশাপাশি এই মাটি জন্মদিয়েছে অসংখ্য গুনী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের। যেমন হান্নান শাহ—বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। তানজিম আহমেদ বা সোহেল তাজ ছিলেন বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী। এম এ কাদের সরকার ছিলেন সাবেক সচিব। ফকির আবদুল মান্নান শাহ রাজনীতিবিদ, এমএলএ ও পাকিস্তানের মন্ত্রী ছিলেন। যিনি তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরে সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯৬৫-৬৯ সালে পাকিস্তানের কৃষি ও খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ফকির শাহাবুদ্দীন, রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী, ১৯৭২ সালে গঠিত খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন এবং বাংলাদেশের সংবিধান রচনায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। সংবিধানের বিধি মোতাবেক, ১৯৭৩ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হন।
শিক্ষিত অধ্যষিত রাজনীতি উর্বর ভূখণ্ডের মর্যাদা পেলেও এই উপজেলায় শিল্পকারখানা গড়ে উঠেনি। স্বাধীনতার পর এখান থেকে চারজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হলেও কাপাসিয়া আজও পৌরসভার মর্যাদা পায়নি। রয়েছে শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন।
দীর্ঘ ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায়। কিছু অবকাঠামো গত উন্নয়ন হলেও এই জনপদে মানুষের আসল সমস্যা বেকারত্ব, মাদক, সন্ত্রাস নির্মূল বা সংসদে উত্থাপ করতে বর্তমান সংসদের তেমন কোন উদ্যোগ এখানকার মানুষ লক্ষ্য করেনি। এই সমস্যা সমাধানের উদ্দেশে বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা আলম আহমেদ নানাবিধ উদ্যোগ ও কর্মসূচী হাতে নেন। এ-র-ই ধারাবাহিকতায় বেকারত্ব দূরিকরনে নিজ উদ্যোগে গার্মেন্টস ও দক্ষ জনশক্তি তৈরী করতে ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন , মাদক দূরীকরণে ও ছেলেমেয়েদের খেলাধুলায় আগ্রহী করতে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম স্থাপন করেন। তাছাড়া শিক্ষার মান ও ছাত্রছাত্রীদের মেধা বিকাশে নানাবিধ সৃজনশীল কর্মসুচি গ্রহন করেন। পাশাপাশি দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও অর্থ সহায়তা প্রদান করে আসছেন দীর্ঘদিন যাবত।
এছাড়া আলম আহমেদ তার মায়ের নামে করা মরিয়ম ফাউন্ডেশন থেকে প্রতিবন্ধি ভাতা, বয়স্কদের জন্য বয়স্ক ভতা প্রদান করে আসছেন দীর্ঘ এক দশকের বেশী সময় ধরে।
তার এই কার্যক্রমের অব্যহত রাখতে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ” স্মার্ট বাংলাদেশ” বিনির্মানের স্বাক্ষী হতে “স্বপ্নের কাপাসিয়া গড়তে চাই ” এই স্লোগানকে বুকে ধারন করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী মনোনীত প্রার্থী হতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি অত্যন্ত আশাবাদী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে এই সুযোগ করে দিবেন।
জনগণের পাল্স বুঝে দীর্ঘদিন অবহেলিত এই জনপদকে রাতারাতি বদলে দেওয়ায় জনগণ যেমন খুশি। ঠিক তেমনি তারা মনে করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীতে এই পরিবর্তনের ছুঁয়া সর্বস্তরে ছড়িয়ে দিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মাঝি করে নির্বাচনের সুযোগ দিবেন।