জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়ছে, বৃষ্টিপাত ও উজানের পানিতে ইতিমধ্যে
কুশিয়ারা নদীর বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। তীরবর্তী এলাকায় বেড়ীবাঁধের বাহিরে থাকা পাইলগাঁও, রানীগঞ্জ,
আশারকান্দি ইউনিয়নের শতাধিক বসতবাড়ি প্লাবিত হয়। এছাড়াও সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর সাথে সংযোগ নদীর
পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিস্তৃত হাওর এলাকায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি।
এদিকে বৃহস্পতিবার ভোরে জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের পুরাতন আলাগদি গ্রামে কুশিয়ারা নদীর
বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে জালালপুর, ছৈদপুর, সোনাতলা, কদমতলা, গোতগাঁও, খানপুর, আলীপুর, মশাজান ও রানীগঞ্জ
ইউনিয়নের নোয়াগাঁও, আলমপুর, জয়নগর সহ কয়েকটি গ্রামে কুশিয়ারা নদীর পানি প্রবেশ করেছে। ভাঙ্গা বাঁধ
দিয়ে কুশিয়ারা নদীর পানি প্রবেশের ফলে গোতগাঁও, ছৈদপুর, সোনাতলা সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের এ সড়ক পথে যাতায়াতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিশেষ
করে সাতার না জানা শিক্ষার্থী ও মহিলাদের জন্য বর্তমানে উপরোক্ত সড়কটি চলাচলের জন্য নিরাপদ নয়।
এছাড়াও এসব এলাকার অন্য সব রাস্তা তলিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
শুক্রবার থেকে উপরুক্ত এলাকায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, ফলে উল্লেখিত এলাকার বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করার
সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী গ্রাম সমূহের বাসিন্দাদের চরম
দুর্ভোগ পোহাতে হবে। শনিবার জগন্নাথপুর উপজেলার পানিউন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা পুরাতন আলাগদি
ভাঙ্গা বেড়ীবাঁধ পরিদর্শন করেন। তবে বাঁধ মেরামতের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এ ব্যপারে পাইলগাঁও ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যান নজম উদ্দিন বলেন, বাঁধটি ভাঙ্গার খবর পেয়ে উপজেলা
পরিষদের সাথে যোগাযোগ করেছি, এখন আর বাঁধ বান্দা সম্ভব হবেনা। এলাকার ভুক্তভোগী জনসাধারণ দ্রুত
ভাঙ্গা বেড়ীবাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য জনপ্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি দাবি
জানিয়েছেন।