নিজ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুল খলিল নামে এক পিতা গ্রেফতার
সোহাগ সরদার খুলনা ব্যুরো
সাতক্ষীরা শ্যামনগর থানার মুরারী কাটি এলাকার মৃত মোক্তার গাজীর ছেলে আব্দুল খলিল (৪৫) নামে এক দুশ্চরিত্র পিতাকে মোছাম্মদ মারিয়া সুলতানা (১৪) বছর বয়সি নিজ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে শ্যামনগর থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে মোছাম্মদ মারিয়া সুলতানার নানী মোসাম্মদ তাহমিনা বেগম (৫০) জানান অভিযুক্ত আসামি আমার জামাতা সে একজন দুশ্চরিত্র লম্পট প্রকৃতির ব্যক্তি, আসামি ও আমার মেয়ে আসমা খাতুন দীর্ঘদিন স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ঘর-সংসার করা কালে আসামির ঔরসে ও আমার মেয়ের গর্ভে একটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে, নাম মোছাম্মদ মারিয়া সুলতানা বর্তমান বয়স অনুমান (১৪) বছর
আসামি কর্তৃক আমার মেয়ে মোছাম্মদ আসমা খাতুন তালাকপ্রাপ্ত হওয়ার পরে আসামি আরো দুইটা বিয়ে করে সর্বশেষ তিন নম্বর স্ত্রী নিয়ে বর্তমান ঘর সংসার করছে।
আমার নাতনি ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত আমার কাছে আমার নিজ বাড়ি থেকে লেখাপড়া করছিল, পরবর্তীতে তার বাবা আসামি তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যায় এবং নুরনগর মহিলা দাখিল মাদ্রাসায় ভর্তি করেন, বর্তমান ক্লাস সেভেনে লেখাপড়া করছে,আমার নাতনির সৎ মা মোছাম্মদ মুসলিমা খাতুন মাঝে মধ্যে বাড়িতে না থাকা কালে অর্থাৎ কোথাও বেড়াতে গেলে আসামি প্রায়ই আমার নাতনির দিকে লোলুপ দৃষ্টি দেওয়াসহ আজেবাজে দৃষ্টি দিত যাহা আমার নাতনি বুঝতে পারলেও কাউকে বলতে সাহস পাইতো না,
এমত অবস্থায় গত ৩১/০৫/২৩ ইংরেজি তারিখে আমার নাতনি মোছাম্মদ মারিয়া সুলতানার সৎ মা- তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে গেলে রাত্রে খাওয়ার শেষে পৃথক চৌকি খাটে ঘুমিয়ে পড়েন বাবা ও মেয়ে অতঃপর রাত্র অনুমান ০২ ঘটিকার সময়ে আমার জামাতা অর্থাৎ আমার নাতনি মোসাম্মদ মারিয়া সুলতানার দুশ্চরিত্র বাবা, তার চৌকি খাট হইতে আমার নাতনির চৌকি খাটে এসে আমার নাতনি মোছাম্মদ মারিয়া সুলতানার গায়ের উপর শুয়ে পড়েন মারিয়া সুলতানা কাউকে ডাকতে গেলে তাকে ভয় ভীতি দেখিয়ে এবং মুখ চেপে ধরে নিজ মেয়েকে ধর্ষণ করে এই দুশ্চরিত্র লম্পট বাবা আব্দুল খলিল,
এই ঘটনার পরে সকালে মোসাম্মদ মারিয়া সুলতানা তার বাবার বাড়ি থেকে নানীর বাড়িতে এসে নানীকে ঘটনাটি খুলে বলেন, নানি তাহমিনা বেগম পরিবারের সকলের কাছে বিষয়টি আলোচনা করে প্রথমে নাতনি মারিয়া সুলতানার মান-সম্মান বা ভবিষ্যতের চিন্তা করে ঘটনাটি গোপন রাখার চেষ্টা করলেও ঘটনাটি কানাকানি হতে থাকে এবং ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে এমত অবস্থায় আমি,৯৯৯ ফোন করে বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করি,
এ ব্যাপারে শ্যামনগর থানার ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম বাদল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা আসামিকে ধরতে সক্ষম হয়েছি এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি শিকার হইলে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রুজু করা হয়,অতঃপর তাকে সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে হস্তান্তর করা হয়।