পঞ্চগড়ে আমলাহার ডিগ্রি কলেজে অনিয়ম
মো.আমিরুলইসলাম ,পঞ্চগড়
পঞ্চগড় সদর উপজেলার আমলাহার ডিগ্রি কলেজে অধ্যক্ষ পদে আবেদন বাছাইয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।দুই দফার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ১১ জন আবেদন করলেও নীতিমালা বহির্ভূতভাবে ৫ জন আবেদনকারীর নাম বাদ দিয়ে ৫ জন প্রক্সি অধ্যক্ষ ও একজন উপাধ্যক্ষের নাম রাখা হয়েছে।এছাড়াও ২০২৩ সালের বিএসএস (ডিগ্রি পাশ কোর্স)ভর্তির জন্য ৩৫ জন ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে অর্থ নেয়া হয়। পহেলা অক্টোবর ছিল ভর্তির শেষ তারিখ।কিন্তু কোন ছাত্রছাত্রীর ভর্তি নিশ্চায়ন করতে পারেননি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।এনিয়ে ক্ষোপ বিরাজ করছে এলাকায়।
জানা যায়,২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর অধ্যক্ষের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়।বিজ্ঞপ্তিতে সরকারি বিধি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী শূন্য পদে অধ্যক্ষের আবেদন করতে পারবেন।নিয়ম মেনে পাঁচজন আবেদন করেন।পরে আবার পুনঃবিজ্ঞপ্তি দেয়া হয় ২০২৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর মাসে।সেখানে বলা হয়েছে ইতিমধ্যে যারা আবেদন করেছেন তাদের পুনরায় আবেদন করার প্রয়োজন নাই।এতে মোট আবেদনকারীর সংখ্যা দ্বাড়ায় ১১ জন।পরবর্তীতে বাছাই কমিটি নীতিমালা বহির্ভূতভাবে ৫ জনের আবেদন বাতিল করা হয়।যে ছয়জন আবেদনকারীকে রাখা হয় তারা হলেন, জগদল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবু তালেব মানিক,বলরামপুর আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ গোলাম মস্তফা,বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, ভজনপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান,আমলাহার ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ জ্যোতিষ চন্দ্র রায়।অভিযোগ রয়েছে অত্র কলেজের উপাধ্যক্ষ জ্যোতিষ চন্দ্র রায় অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ নেয়ার জন্য কলেজের সভাপতি তার আপন চাচাসহ এ নীল নকশা একেঁছেন।এছাড়াও জ্যোতিষ চন্দ্র রায়ের নামে দুইটি হত্যা মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
সহকারী অধ্যাপক গোলাম মস্তফা মজুমদার বলেন,নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী অধ্যক্ষ পদে আবেদন করেছি এখন শুনেছি আমাকে বাছাই কমিটি বাদ দিয়েছেন।
অধ্যক্ষ পদে আবেদনকারী বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম জানান,ওরা আবেদন করতে বলেছেন, এজন্য আবেদন করেছি।বুঝেননা এটা একটা সিস্টেম।
কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রমো চন্দ্র রায় জানান,বাছাই কমিটি করা হয়েছে, এখনো বাছাই শেষ হয়নি।যদিও বাছাই কমিটির আহবায়ক শফিকুল ইসলাম বাছাইয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এদিকে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি অনিশ্চিতের বিষয়ে ভর্তি কমিটির আহবায়ক আবুল ফজলকে শোকজ করা হয়েছে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।
গভর্নিং বডি সভাপতি নরেশ চন্দ্র রায় জানান,অধ্যক্ষ পদে যারা আবেদন করেছে তাদের ৫ জন নীতিমালায় না পড়ায় বাদ দেয়া হয়েছে।ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি অনিশ্চিতের বিষয়টি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
মো.আমিরুল ইসলাম
পঞ্চগড়।
২০/১০/২০২৩।।