পঞ্চগড়ে উপ-সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসারের বিরুদ্ধে লাখ টাকা নিয়ে পর্চা দেওয়ার অভিযোগ
পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ
পঞ্চগড়ে উপ-সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মোঃ খন্দকর তানবীরুল আলম, চেইনম্যান আনন্দ কুমার রায় এবং অফিস চত্বরের দালাল আব্দুল হালিম এর বিরুদ্ধে বুধবার লিখিতভাবে জেলা প্রশাসকের বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন, পঞ্চগড় সদর উপজেলার হলধর জোত এলাকার মো. আবু হাসেম।
উপজেলার সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার আলমগীর হোসেন শেখ অভিযোগের বিষয়টি জেনে বলেন, জেলা প্রশাসক কি জমির পর্চা দিতে পারবেন। ওখানে দরখাস্ত দিয়ে কি হবে। আমার কাছে দরখাস্ত দিলে বিষয়টি দেখবো।
অভিযোগে জানা যায়, বাবা দাদা ও মায়ের তিনটি দলিল মূলে ৫.৯৩ শতাংশ জমির ক্রয় করে, আমার বাবা তার অংশটি বিক্রি করে, বাকি আমার দাদা ও আমার মায়ের অংশটি থেকে যায়। কিছুদিন আগে এলাকায় ভূমি জরিপ হলে, স্থানীয় ভূমিদস্যু ইসমাইল হোসেন আমার ওয়ারিশ হতে প্রাপ্ত জমি তাদের নামে মাঠ পর্চা করে নেয়। আমি জানতে পেরে পঞ্চগড় সদর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে একটি আপত্তি মামলা করি আপত্তি কেস ২০২১। মামলার দিন ধার্য করে কিন্তু অফিস বন্ধ থাকার কারনে শুনানি হয়নি। পরবর্তীতে আবার দিন ধার্য করে, সেদিন অফিস অন্য বিষয় নিয়ে হট্রগোল হওয়ায় শুনানি হয় নাই। আমরা হাজিরা দিয়ে উপ-সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার খন্দকার তারবীরুল আলম এর কাছে গেলে তিনি জানান,পরবর্তীতে নোটিশের মাধ্যমে শুনানির তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে। পরে কয়েকদিন অফিসের চেইনম্যান আনন্দ কুমার ও আব্দুল হালিম এর কাছে গেলে তারা আর কোন নোটিশ না দিয়ে এক লাখ টাকা উৎকোচ নিয়ে
ইসমাইল হোসেনের পক্ষে শুনানি না করেই মামলার নিষ্পত্তি করে দেন। আব্দুল হালিম অফিসের কোন কর্মচারী না হলেও শুনানির নোটিশ জারি করেন তিনি।
অভিযুক্ত উপ-সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মো.খন্দকার তানবীরুল আলমের সাথে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলেও পাওয়া যায়নি।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার আলমগীর হোসেন শেখ জানান,প্রতিদিন ১০০ অধিক মামলা শুনানি হয় এতে ভুলত্রুটি হতেই পারে। তবে অভিযোগের বিষয়টি কাগজপত্র না দেখে কিছু বলা যাবেনা।