পটুয়াখালীতে কাঁঠাল চুরিকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মারামারিতে আহত ১
মোঃ কবির হাওলাদার
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
পটুয়াখালী জেলার গলাচিপায় কাঁঠাল চুরিকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মারামারিতে ১ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গলাচিপা সদর ইউনিয়নের উত্তর পক্ষিয়া গ্রামের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ফয়জর হাওলাদার বাড়িতে। আহত মো. হারুন হাওলাদার (৫৫) হচ্ছেন মৃত. ফয়জর হাওলাদারের ছেলে। এ বিষয়ে আহত মো. হারুন হাওলাদার জানান, মঙ্গলবার (৬ জুন) বিকাল আনুমানিক ৪ টার দিকে নিজ বাড়ির দরজায় কাঁঠাল চুরিকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ শাওন মুন্সী (২৫), তরিকুল মুন্সী (২০) ও হৃদয় মুন্সী (১৮) এর কাছে জানতে চাইলে প্রতিপক্ষরা কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে চড়াও হয়ে আমাকে মারতে থাকে। আমার ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এসে পড়লে মারধরকারীরা পালিয়ে যায়। আমার কাঁঠালও চুরি করেছে আবার জানতে চাইলে আমাকে মেরেও গেল। দেশে কী বিচার নাই। আমি এর বিচার চাই। এলাকাবাসী আমাকে উদ্ধার করে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার মাহবুবুর রহমান বলেন, হারুন হাওলাদার আমার চিকিৎসাধীনে ২য় তলায় ২২ নম্বর বেডে ভর্তি আছে। তার ডান হাতে হাড়ে চির ধরেছে (ভেঙ্গেছে)। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। এ বিষয়ে হারুন হাওলাদারের ছেলে মনির হাওলাদার জানান, এলাকার বখাটে ছেলেরা আমাদের গাছের কাঁঠাল চুরি করেছে এবং আমার বাবাকে মেরে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে। তার চিকিৎসার খরচ এখন কীভাবে জোগাড় করব। আমি এর বিচার চাই। হারুন হাওলাদারের ছোট ভাই হেলাল হাওলাদার জানান, আমার ভাইকে লোহার রড দিয়ে এলোপাথারীভাবে শাওন মুন্সী গং এর লোকেরা মেরেছে। এর বিচার না হলে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে এলাকায় বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করেই যাবে। এ বিষয়ে শাওন মুন্সীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা পরস্পর আত্মীয়। আমাদেরও লোকজন আহত হয়েছে। ইউপি সদস্য মো. ফারুক মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। গলাচিপা সদর ইউনিয়নর চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন টুটু বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। দু’পক্ষকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে মীমাংসার ব্যবস্থা করব। গলাচিপা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শোনিত কুমার গায়েণ বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থ্য গ্রহন করা হবে।