পাইকগাছায় চোর বলে মানহানি করায় কলেজ শিক্ষক সুধাংশু এর বিরুদ্ধে পৌর কাউন্সিলর কবিতার মামলা
প্রতিনিধি,(পাইকগাছা) খুলনা
পাইকগাছা পৌরসভার কাউন্সিলর কবিতা রানী দাশকে চোর বলায় কলেজ শিক্ষক সুধাংশু মন্ডল এর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা তদন্ত করবে পি,বি,আই। মামলাটি করেছে পৌরসভার ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের এক নাগাড়ে তিন তিন বার নির্বাচিত মহিলা কাউন্সিলর কবিতা রানী দাশ বাদী হয়ে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২৩ মামলাটি দাখিল করেছেন।মামলার আসামি হলেন পাইকগাছা ফসিয়ার রহমান মহিলা কলেজের শিক্ষক সুধাংশু মন্ডল। গত ইং ২ সেপ্টেম্বর তারিখ জনৈক পূর্ণ চন্দ্র মন্ডল তার ফেসবুক আইডিতে “পাইকগাছায় এক মহিলা কাউন্সিলর এর বিরুদ্ধে দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে জানা যায়, এই টাকার জন্য গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা পরিশোধ করতে পারছে না জোনাকি সমিতি কর্তৃপক্ষ। প্রশ্ন দেড় কোটি বাদে আর বাকি কোটি কোটি টাকা কার কাছে ??? নিশ্চয়ই কর্তৃপক্ষের কাছে। তাহলে এত টাকা থাকতে গ্রাহকরা হয়রানি হচ্ছে কেন? উদর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানো হচ্ছে না তো???
যারাই জড়িত থাকুক, একটা গ্রাহক যেন তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত না হয়।জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী”উক্ত লেখাটি প্রকাশ ও প্রচার হওয়ার পর বিভিন্ন লোকজন বিভিন্ন ধরনের কমেন্ট করেছেন। তারমধ্যে আসামি সুধাংশু মন্ডল মামলার বাদী কাউন্সিলর কবিতা কে ইচ্ছা কৃত ভাবে মানহানি উদ্দেশ্যে কমেন্ট করেন যে ,চোর, ফসিয়ার রহমান জনকল্যাণ সমিতি থেকে চুরি করে ছিল।ঐ ঘটনার পর উক্ত কমেন্টটি নিয়ে সুধাংশু মন্ডল ও তার পক্ষীয় লোকজন ফটোকপি করে বিভিন্ন হাটে,মাঠে,ঘাটে,বাজারে ও দোকানে প্রচার ও বিলি করেন।যাতে কাউন্সিলর কবিতা রানী দাশ এর সামাজিক, পারিবারিক, রাজনৈতিক সুনাম ও মানমর্যাদা হানি ঘটে। সেজন্য কাউন্সিলর কবিতা রানী দাশ আইনজীবীর মাধ্যমে সাত দিনের মধ্যে মানহানির ক্ষতি পূরণ বাবদ একলক্ষ টাকা প্রদানের জন্য নোটিশ দেয় আসামি সুধাংশু মন্ডলকে। নোটিশ প্রাপ্তির পর জবাব দিয়ে সুধাংশু মন্ডল বলেন তিনি সরল বিশ্বাসে কমেন্টটি করেছেন। পরবর্তীতে আসামি সুধাংশু মন্ডল গত ২২ সেপ্টেম্বর তারিখ কাউন্সিলর কবিতা কে দেখে প্রকাশ্যে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ ভয়বৃতি প্রদর্শন করেন। এরপর কাউন্সিলর কবিতা রানী দাশ পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে খুলনার পি, বি, আই কে তদন্তের নির্দেশ দেন।