পাইকগাছায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে মার্কেট নির্মানে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ
দীনেশ চন্দ্র রায়, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি
খুলনার পাইকগাছায় এক সময়ের খরস্রোতা শিবসা নদীর ভরাটি জায়গা ও পাউবো’র জায়গা দখল করে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে পুনরায় পাকা মার্কেট নির্মানের পায়তারা করছে পাইকগাছা মৎস্য আড়ৎদারি সমবায় সমিতি। রোববার এ নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ হয়েছে।এদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সরকারি কোটি টাকার সম্পদ উদ্ধারের আহবান জানিয়েছেন সচেতন মহল। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগে ও সরেজমিনে জানা যায়,পাইকগাছা উপজেলা ও পৌরসদরের বাতিখালী মৌজা ঘেঁষে বহমান ছিলো এক সময়ের খরস্রোতা নদী শিবসা।আর এ নদী দিয়ে চলাচল করতো জাহাজ, ষ্টীমার ও লঞ্চ। কালের বিবর্তনে নদীটি আজ ভরাট হয়ে জমিতে পরিনত হয়েছে।অপরদিকে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৯৬২-৬৩ সালে ১২৬নং এলএ কেচের মাধ্যমে বাতিখালি মৌজায় ২০২,৩৪০,৩৪১ ও ৩৪২ সহ কয়েকটি দাগে ০.৬৫একর জমি হুকুম দখল করে ওয়াপদার ভেড়িবাঁধ নির্মান করেন।
কিন্তু পাউবো’র হুকুম দখলীয় জায়গা ও শিবসা নদীর ভরাটি জায়গার একটি অংশ পাইকগাছা মৎস্য আড়ৎদারি সমবায় সমিতি জবর দখল করে মার্কেট নির্মান কাজ শুরু করে। এবিষয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে স্হানীয় প্রশাসন কাজ বন্ধ করে দেয়। তবে বর্তমানে তারা আবারো নদীর ভরাটি একটি অংশ দখল করে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ৩কোটি ৭০লক্ষ টাকায় কোটেশনের মাধ্যমে মার্কেট,কোল্ড স্টোরেজ ও রাস্তা নির্মান করার পায়তারা করছে।আর টেন্ডার ছাড়াই কোটেশনের মাধ্যমের মার্কেট,কোল্ড স্টোরেজ ও রাস্তা নির্মান করা মানেই অর্থ আত্নসাতের একটি পদ্ধতি মাত্র।কিন্তু বিশ্ব ব্যাংক পাইকগাছা মৎস্য আড়ৎদারী সমবায় সমিতি বরাবর ৩কোটি ৭০লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়ার পর প্রশাসন রয়েছে নীরব ভূমিকায়।
এদিকে শিবসা নদী খননের জন্য ইতিমধ্যে টেন্ডার হয়েছে। তবে ভরাটি জায়গা দখলের কারনে নদী খননের মাটি রাখার জায়গা ও থাকছে না।ফলে নদী খনন কাজ বিঘ্ন ঘটবে বলে দাবী তুলেছেন সচেতন মহল। তাই এসব বিষয়ে ও সরকারি জমি উদ্ধারের জন্য রোববার পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য সাংবাদিক মোঃ আলাউদ্দীন রাজা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে পাইকগাছা মৎস্য আড়ৎদারী সমবায় সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন জানান,আমাদের ক্রয়কৃত সম্পতিতে আমরা মার্কেট নির্মান করছি। পাউবো’র পাইকগাছা উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর উপ-সহকারি কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন জানান,আমি নতুন এসেছি আর এসব বিষয়ে আমার জানা নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন বলেন, নদীর জমি শ্রেণী পরিবর্তন করে দখল ও পাঁকা স্থাপনা করার প্রশ্নই উঠে না। যারা সরকারি জমিতে স্থাপনা করছেন তা দ্রুত উচ্ছেদ করে আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।