ঢাকাThursday , 21 November 2024
  1. অনুষ্ঠান
  2. অপরাধ
  3. অভিযোগ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন ও বিচার
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আহত
  8. ইসলাম
  9. উদ্বোধন
  10. কমিটি গঠন
  11. কৃষি বার্তা
  12. খেলাধুলা
  13. চাকরি
  14. জরিমানা
  15. জাতীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পাইকগাছার বিভিন্ন নদীতে পোনা আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করছে বহু নারী পুরুষ

Link Copied!

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার বিভিন্ন নদীতে পোনা আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করছে নারীরা। সেই সাথে জীবন সংগ্রামে সংসারের বোঝা টানতে নদী থেকে পোনা আহরণের পর রাতে সেই পোনা পৌঁছে দিচ্ছে মৎস্য ঘেরে।
অভাব অনটনের কারণে বিকল্প আয়ের পথ না থাকায় বাধ্য হয়ে তাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদীতে চিংড়ীর পোনা আহরণ করছেন। প্রতিদিন ভাটার সময় ছোট জাল দিয়ে শুধু বাগদার পোনা আহরণ করেন। পরে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে যে অর্থ পান তা দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে খেয়ে পরে বেঁচে আছেন।
গোনমুখে ভাটার সময় প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ টাকার চিংড়ি পোনা আহরণ করেন। পাইকগাছা উপজেলার বিভিন্ন নদীতে শত শত নারী-পুরুষ চিংড়ি পোনা আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। তাঁরা মনে করেন, নদী থেকে চিংড়ি পোনা আহরণ বন্ধ রাখতে হলে তাঁদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
পরিবারের একমাত্র পুরুষ সদস্য দেশের বিভিন্ন স্থানে জীবিকা অর্জনের জন্য কাজ করতে চলে যাচ্ছেন। আবার অনেক পরিবারে অভিভাবকশূন্য পরিবারটির সব দায়িত্ব পড়ে যাচ্ছে নারীর উপর। ফলে দিন দিন তাদের পারিবারিক বন্ধন ক্ষীণ হতে থাকে। তাছাড়া অনেকে সময়মতো সাংসারিক খরচ পাঠাতে পারে না।
এতে বাড়িতে থাকা নারীকে সংসার সামলাতে হিমশিম খেতে হয়। আবার অনেক বিধবা নারীর পরিবারে উপার্জন করার মতো কোন লোক না থাকাই সমস্ত দায়িত্ব ঐ নারীকেই নিতে হচ্ছে। নারীর দায়িত্ব তখন সংসার সামলানোতেই সীমাবদ্ধ থাকে না বরং সন্তানসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের জীবন ধারনের জন্য অর্থ উপার্জন করার দায়িত্ব ওই নারীকেই নিতে হচ্ছে।
ফলে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয় তাকে। ফলে নারীর স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। আর নারীর স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ার কারণে শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকিও বেড়ে যাচ্ছে। পুরুষ শ্রমিকরা কাজের সন্ধানে দেশের বিভিন্ন স্থানে গেলেও বেশির ভাগ সময় নারী শ্রমিকরা বাড়িতে বেকার পড়ে থাকেন। অর্থ উপার্জনের বিকল্প কোন পথ না থাকায় নারীরা তখন বাধ্য হচ্ছেন নদীতে মাছের রেনু পোনা সংগ্রহ করতে।
পাইকগাছা উপজেলার সব থেকে বেশি পোনা আহরণ কারিদের দেখা যায়, শিবসা নদীর দু’ধার দিয়ে শত শত নারী-পুরুষ পোনা আহরণ করছে। কথা হয় শিবসা নদীর তীরে রবিউল,বারিক, কামরুল,সখিনা বেগম, আকলিমারা জানান, অনেক সময় ভোর রাতে নদীতে জাল টানতে গেলে খুব ভয় লাগে। নদীতে কামট, কুমোর, সাপ, সোস থাকে আবার হঠাৎ আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে যখন তখন ঝড় উঠতে পারে যে কোন মুহুর্তে বিপদ আসতে পারে।
তাছাড়া নদীর পানির ভিতর সবুজ রঙ্গের কিরাল সাপ (সাপটি লম্বা হয় ৩/৪ ফুট এবং চওড়া হয় ২/৩ ইঞ্চি) থাকে কামড় দিলে মানুষ বাঁচে না। শুধু সংসার চালাতে ভয়ডর বাদ দিয়ে নদীতে পোনা ধরতে নামতে হচ্ছে। শামুকপোতা গ্রামের বিধবা নারী নুরনাহার (৪৮) বলেন, ‘হ্যাচারীর মালিকরা সাগর থেকে মা মাছ ধরে নিচ্ছে এবং তাছাড়া নদী মরে যাচ্ছে। তাই সাগর থেকে মাছ উপরের দিকে আসতে পারছে না।
যে কারণে নদীতে মাছ ও পোনা কম পড়ছে। তাছাড়া নদীতে জেলের সংখ্যা ও বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে যদি ১০ জন জাল টানতো কিন্তু বর্তমানে ১০০ জন জাল টানছে। সেই সাথে পোনা আহরণের জন্য রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পেটের জ্বালায় নদীতে পোনা আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করতে হচ্ছে।

Design & Developed by: BD IT HOST