মোঃ ফোরকান জামান,বেনাপোল প্রতিনিধি
বেনাপোল চেকপোষ্ট হয়ে কোন অপরাধী যাতে ভারতে পালাতে না পারে বহিরাগতদের প্রবেশের উপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। একই সাথে কোন দালাল চক্রের মাধ্যমে পাসপোর্টধারী যেন প্রতারনা ও হয়রানির শিকার না হয় ইমিগ্রেশন পুলিশ,বিজিবি, কাস্টমস ও বন্দরের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সবাইকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা যায়, বিভিন্ন পরিচয়ে বহিরাগতরা বন্দরে প্রবেশ করে পাসপোর্টধারীদের সহযোগীতার নামে সুবিধা নিয়ে থাকে। ফলে বিতর্কে পড়তে হয় ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসকে। সাম্প্রতি পাসপোর্টধারীদের হয়রানির অভিযোগ উঠলে প্রতিরোধে নানান সতর্কতা মুলক ব্যবস্থা গ্রহন করে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস কর্তপক্ষ।
বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন ওসি ইমতিয়াজ মোঃ আহসানুল কাদের ভূইয়া জানান, ইমিগ্রেশন রুটে যাতায়াতকারী পাসপোর্টধারীদের নিরাপদ যাত্রায় পুলিশ সদস্যদের আরো আন্তরিক হয়ে কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সাথে যাতে কোন অপরাধী কৌশলে ভারতে ঢুকতে না পারে ইমিগ্রেশন ভবনে পুলিশ,বিজিবি ও সরকারের বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থ্যা সার্বক্ষনিক সমন্বয় করে তদারকি করছেন। নিরাপত্তা কর্মীদের দাযিত্বশীলতার কারনে ইতি মধ্যে এ রুটে ভারতে পালানের পথে বিভিন্ন মামলার ৭ আসামীকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে গিয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, বহিরাগত প্রবেশের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে পুলিশ। ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস রুমে সিসি ক্যামেরায় পাসপোর্টধারীদের গতিবিধী তদারকি করছেন কর্মকর্তারা। এছাড়া বন্দরের প্রবেশ দ্বারে অতিরিক্ত সশস্ত্র আনসার ও আমর্ড পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বন্দরের তথ্য মতে, বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট কাস্টমস দিয়ে প্রতিবছর ১৮ থেকে ২০ লাখ পাসপোর্টধারী যাতায়াত করে থাকে। এসব যাত্রীদের কাছ থেকে ভ্রমন কর বাবদ বাংলাদেশ সরকারের প্রায় ১২০ কোটি ও ভিসা ফি বাবদ ভারত সরকারের দেড়শো কোটি টাকা ভ্রমন ক্ষাতে রাজস্ব আসে। ভিসা জটিরতার মাঝেও গত তিন মাসে চার লাখ ৫০ হাজার যাত্রী ভারতে যাতায়াত করেছেন। যাত্রীদের কাছ থেকে এ সময় বিদেশে ভ্রমণকর বাবদ রাজস্ব আদায় করেছে প্রায় ৪২ কেটি টাকা। শিশু, প্রতিবন্ধী ও ক্যানসার রোগীরা ভ্রমন করের আওতার বাইরে রয়েছে।