প্রয়াত মেয়র আলাল পুত্র’র এমন কাণ্ডে হতবাক দুর্গাপুরবাসী
নেত্রকোণা প্রতিনিধি।
নামাজ পরবর্তী মোনাজাত কিংবা কবর সম্মুখে অশ্রুসিক্ত নয়নে দু’হাত তোলে মহান রবের নিকট মৃতদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা-ই মুসলিম ধর্মমতে শ্রেয় প্রথা। কিন্তু শরীয়া বিধি ভঙ্গ করে বিধানের উল্টো পথেই হাটছেন দুর্গাপুর পৌরসভার প্রয়াত মেয়র আলাউদ্দিন’র পুত্র মোঃ আজহারুল ইসলাম আরিফ।
তিনি পোস্টার-ব্যানার ও লিফলেটের মাধ্যমে মৃত পিতার বেহেশত লাভ ও আত্মার শান্তি কামনায় দুর্গাপুরবাসীর কাছে চেয়েছেন দোয়া। সেই দোয়া চাওয়ার সৌজন্যেও আবার দিয়েছেন নিজের নাম। দুর্গাপুর পৌর এলাকার প্রতিটি মোড় ও অলিগলি ছেয়ে গেছে এরুপ ব্যানার-পোস্টারে। তার এহেন কর্মকাণ্ডে বিব্রতকর পরিস্থিতির কথাও শোনা যায়।
এসকল ব্যানার গুলোতে প্রয়াত আলাউদ্দিন’র হাসিযুক্ত ছবির পাশাপাশি শোভা পেয়েছে তার সন্তানের মৃদু হাসিমাখা মুখ। একই সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবিও ব্যবহার করা হয়েছে প্রচারণার এই মাধ্যম গুলোতে।
অনেকেই বলছেন মৃত জন্মদাতার জন্য দোয়া কামনা নয়। বরং নিজের পরিচিতি বাড়ানোই ছিলো তার প্রধান উদ্দেশ্য। নিজ পিতাকে নিয়ে এমন কাজ ইসলাম পরিপন্থী। যা কোনো ভাবেই সমর্থনযোগ্য নয় বলেও মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ।
আজহারুল ইসলাম আরিফ প্রয়াত মেয়র আলাউদ্দিন আলাল’র প্রথম পক্ষের সন্তান। ঘনিষ্ঠসূত্রে জানা যায়, পিতার অবর্তমানে রাজনীতিতে সক্রিয় হতেই তিনি ঘটিয়েছেন এমন কাণ্ড। যা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে এক মিশ্র প্রতিক্রিয়ার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুসুল্লি বলেছেন, নিজের মৃত পিতাকে এক প্রকার পণ্য হিসেবে ব্যবহার করেছেন তিনি। এমন কর্মকাণ্ড আমার দৃষ্টিতে এটাই প্রথম। মোনাজাতের দোয়া কবুল হয়, ব্যানার-লিফলেটের দোয়া নয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুফতি আনিসুর রহমান বলেন, দোয়া চাওয়ার পদ্ধতিটা অতিরঞ্জিত হয়েছে। মৃতদের আত্মার শান্তির জন্য জীবিতদের কিছু করণীয় থাকে। অনাথ ও অসহায় মানুষদের সহযোগিতা করে দোয়া চাওয়াটাই উত্তম। এমন ব্যবস্থা নিঃসন্দেহে দৃষ্টিকটু।
প্রসঙ্গত এমন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড পরবর্তী দিনগুলোতে তার চলার পথকে কতটুকু মসৃণ করবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।