ঢাকাMonday , 21 October 2024
  1. অগ্নিকান্ড
  2. অনুষ্ঠান
  3. অপরাধ
  4. অবৈধ বালু উত্তোলন
  5. অভিনন্দন
  6. অভিযোগ
  7. অর্থনীতি
  8. আইন ও বিচার
  9. আওয়ামী লীগ
  10. আওয়ামী লীগে
  11. আক্রান্ত
  12. আটক
  13. আত্মহত্যা
  14. আদালত
  15. আনন্দ মিছিল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বগুড়ায় এবার মরিচের বাম্পার ফলন  মরিচ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা 

Link Copied!

বগুড়ায় এবার মরিচের বাম্পার ফলন  মরিচ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা 
বগুড়া,  প্রতিনিধি
মরিচ উৎপাদনে সুনাম রয়েছে বগুড়ার। জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার চরাঞ্চল মরিচ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। চরাঞ্চলের অন্যতম অর্থকরী ফসল মরিচ। মরিচ উৎপাদনে সুনাম রয়েছে বগুড়ার। জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার চরাঞ্চল মরিচ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। চরাঞ্চলের অন্যতম অর্থকরী ফসল মরিচ। অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে মসলাজাতীয় পণ্যটির। বাজারে সরবরাহ কম থাকায় দামও বেড়েছে। এ কারণে মরিচ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন চাষীরা। ভালো দাম পাওয়ার আশায় চাষের প্রস্তুতি নিয়েছেন। আগামী রবি মৌসুমে জেলায় প্রায় ১৮ হাজার টন মরিচ উৎপাদনের
লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় সবচেয়ে বেশি মরিচ চাষ হয় সারিয়াকান্দি, শাজাহানপুর, সোনাতলা, ধুনট, শেরপুর, নন্দীগ্রাম, শিবগঞ্জ ও সদর উপজেলায়। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চাষ হয় কাহালু, দুপচাঁচিয়া ও আদমদীঘি উপজেলায়। এরই মধ্যে এসব উপজেলায় চাষীরা আগাম মরিচ বিক্রি শুরু করেছেন। জেলায় মূলত তিন সময়ে মরিচ চাষ হয়। ১৬ মার্চ থেকে ১৫ জুলাই খরিপ মৌসুম-১ ও ১৬ জুলাই থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত খরিপ-২ এবং বছরের বাকি সময়টা রবি মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। রবি মৌসুমে জেলায় প্রায় ছয়-সাত হাজার হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়।
চলতি খরিপ-২ মৌসুমে প্রাথমিকভাবে ৭৭০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও চাষ হয়েছে ৮২০ হেক্টর জমিতে। সারিয়াকান্দিতে বন্যার পর স্থানীয় চাষীরা এবার বেশকিছু জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। সেখান থেকে পাওয়া কাঁচামরিচই অতিরিক্ত হিসেবে ধরা হয়েছে। এবার সোনাতলা উপজেলায় ১ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি পরিমাণ জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। গত বছর ১ হাজার ৩২৬ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। সোনাতলার করমজা এলাকার কৃষক আনারুল ইসলাম জানান, সাত বিঘা জমিতে হাইব্রিড বিজলী ও বিজলী প্লাস
জাতের মরিচ চাষ করেছেন তিনি। ভালো ফলন পাবেন বলে আশা করছেন। বাজারে দাম ভালো থাকায় মরিচ চাষের প্রতি অনেকেই ঝুঁকে পড়ছেন। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, এবার প্রতি হেক্টরে ফলন ধরা হয়েছে ১৪ টন করে। সে হিসাবে শুধু খরিপ-২ মৌসুমে মরিচ উৎপাদন হবে ১১ হাজার ৩৪০ টন। সোনাতলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন জানান, প্রতি বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে মরিচ চাষ হয়। মরিচ উৎপাদন করে পারিবারিক চাহিদা মেটানোর পর বাজারে বিক্রি করে ভালো আয় করতে পারেন কৃষক। বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদ হোসেন জানান, বগুড়ায় কৃষিপণ্য
লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি উৎপাদন হয়। রবি মৌসুমে সবচেয়ে বেশি মরিচ চাষ হয়। এছাড়া খরিপ মৌসুমে যে পরিমাণ মরিচ চাষ হয়, তা দিয়ে স্থানীয় চাহিদা পূরণ হওয়ার পর বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। জেলায় এবার খরিপ-১ মৌসুমে এক হাজার হেক্টর ও খরিপ-২ মৌসুমে ৮২০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। আর ২০২২ রবি মৌসুমে চাষ হয় সাড়ে ছয় হাজার হেক্টরে। এছাড়া ২০২৩ সালের রবি মৌসুমে চাষ হয় ৬ হাজার ৪৫ হেক্টরে। চলতি রবি মৌসুমে চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার হেক্টর জমি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।

Design & Developed by: BD IT HOST