বরিশালে কোটা আন্দোলনকারী সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ, সাংবাদিকসহ আহত ১৫
অনলাইন ডেস্ক
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা নগরীর সদর রোডে মিছিল বের করার চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে লাঠিচার্জ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেন তারা। পালটা হিসেবে শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল ছুড়লে শুরু হয় সংঘর্ষ। ২৫-৩০ মিনিট ধরে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়া চলে।
এ সময় কর্তব্যরত দৈনিক যুগান্তরের ফটো সাংবাদিক শামিম আহম্মেদ এবং যমুনা টিভির ক্যামেরা পার্সন মো. তুহিনকে বেধড়ক পেটায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ সদর রোড ফকির বাড়ি রোডসহ পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশি ধাওয়া এবং বেপরোয়া লাঠিচার্জের মুখে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অলিগলিতে আশ্রয় নিলে পরিস্থিতি খানিকটা শান্ত হয়।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ফজলুল হক এভিনিউতে থাকা বরিশালের আদালত চত্বরের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় বাধা দেয় পুলিশ। ছাত্র-ছাত্রীরা এসময় ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান দেন। আন্দোলনকারীরা আদালত চত্বরে ঢুকতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। এখানেও পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বেশ কয়েক দফা ধাওয়া পালটা ধাওয়া সংঘর্ষ হয়। এছাড়া নগরের কাকলীর মোড়, বটতলা এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এলাকাতেও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।