মোঃ শাহজাহান বাশার, স্টাফ রিপোর্টার
আমি বহুবার বলেছি এসময় থাকবেনা” কথাটা কেউ আমলে নেন নাই।আওয়ামীলীগ থেকে ২০০৮ সালে নির্বাচিত এমপি সাহেবরা পরবর্তীতে বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ পেয়ে, যাবতীয় চুরিচামারি, মাদক ব্যাবসা, মাস্তান বাহিনী তৈরি করে সকল সাধারণ মানুষ এবং রাজনৈতিক কর্মীদেরও তাদের প্রজা ভাবতে শুরু করেছিলেন। এসকল এমপিদের হাতে আসে টাকার পাহাড়।তাদের সন্তানরা বিদেশে মার্কেটিংয়ে অভ্যস্ত হয়ে উঠে।তাদের স্ত্রী পুত্র কন্যারাও সভা সমিতিতে অতিথি হতে থাকে। ব্যক্তিত্বহীন নেতারা এমপিদের স্ত্রী,পুত্র,কন্যার পিছনে দাঁড়িয়ে হাসি দিয়ে ছবি তুলে ফেসবুকে দিতে থাকে। কিছু মুক্তিযোদ্ধাও জোকার সেজে এমপিদের স্ত্রী পুত্র কন্যাদের প্রশংসা করে ভাষণ দিতে থাকে। বিভিন্ন পেশার নেতারা নিজেদের পেশার মর্যাদা ভুলে এমপির স্ত্রী,পুত্র বা কন্যার মিছিলে যোগ দিতে থাকে।
এক পর্যায়ে প্রায় সকল ওয়ার্ড কাউন্সিলর, উপজেলা চেয়ারম্যান এমনকি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মেম্বাররাও বিনা ভোটে পাশ করে,ধরাকে সরা জ্ঞান করতে থাকে। এদের অনেকেরই ছিলো ছোট ছোট রাজত্ব এবং টর্চার সেল !!
এমপিদের প্রিয়ভাজন পুলিশদের ভাবসাব দেখলে জনগণ অসহায়ত্ব বোধ করতেন।এসকল পুলিশরা এমপি মন্ত্রীর মাস্তানদের সহায়ক শক্তি ছিলেন।পুলিশ যখন কোন দলের হয়ে বক্তব্য রাখতো, মিছিলে স্লোগান দিতো, সরকারের বিরুদ্ধাচরন করলে এটাকে রাষ্ট্রবিরোধী কাজ বলতো, সেটা সাধারণ মানুষদের কেমন লাগতো, এখন আওয়ামীলীগ নেতারা উপলব্ধি করার সুযোগ পাচ্ছেন।জনগণ পক্ষে না থাকলে,এশকাল গডফাদার,এমপি এবং তাদের পরিবার ও তাদের নিয়ন্ত্রিত পুলিশ নির্ভর মাস্তানেরা কোনোই কাজে আসেনা, এ সত্য উপলব্ধির সুযোগ পেয়েছে আওয়ামীলীগ নেতারা, যা খুবই দরকার ছিল।
নেতাদের বউগুলো আরো বেশি অর্থলোভী, এদের পরামর্শে জামাইগুলো আরো বেশি লুট করেছে। তাই তাদের স্ত্রীদেরও জেলে রাখা খুবই উচিত কর্ম হবে।ওদের একাউন্টেও নাকি শত শত কোটি টাকা।তাদের ব্যবসাটা কি? ভোট ছাড়া এশকাল চোর ডাকাতদের এমপি,মন্ত্রী,উপজেলা চেয়ারম্যান,মেয়র,কাউন্সিলর, ইউপি চেয়ারম্যান,ইউপি মেম্বার না বানালে, আজকের এই দুর্দিন কি সরকার প্রধানকে দেখতে হতো? আমি বহুবার বলেছি ”এসময় থাকবেনা” কথাটা কেউ আমলে নেন নাই। এমন আবেগ আর কষ্টের কথা মানবাধিকার প্রতিদিন এর প্রতিনিধি মুঠো ফোনে জানিয়েছেন একজন আওয়ামীলীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, কুমিল্লা মহানগর এর নেতা এবং স্পেশাল পি,পি জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল কুমিল্লা.জজ কোর্ট,অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান।