বীজতলায় দুলছে চারা ধান বন্যার শঙ্কা কাটিয়ে জগন্নাথপুরে চাষাবাদ হচ্ছে রোপা-আমন ধান
মোঃ আল আমীন, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
বন্যার পানিতে নিমজ্জিত চাষের জমি গুলো ভেসে ওঠায় জগন্নাথপুর উপজেলায় রোপা-আমন ধান চাষাবাদ শুরু হয়েছে। বন্যার পানির কারণে সময়মতো বীজতলায় চারা ধান হয়নি। পানি নামার সাথে সাথেই কৃষকেরা বীজতলা প্রস্তুত করে বীজধান বপন করেন। বিলম্বে হলেও এখন চারাধান রোপণ উপযোগী হয়েছে। এতে কৃষকেরা সকল শঙ্কা কাটিয়ে অগ্রাহায়ণের অন্যতম ফসল রোপা-আমন ধান চাষাবাদ করতে শুরু করেছেন।
জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় নয় হাজার ছয়শত চার হেক্টর জমিতে রোপা-আমন ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধাণ করা হয়েছে। এরমধ্যে চারশত নব্বই হেক্টর বীজতলা রয়েছে। এর মধ্যে বত্রিশ হেক্টর জমিতে ধান রোপণ করা হয়েছে। রোপা-আমন চাষাবাদের জন্য এক হাজার তিন শত কৃষককে সার বীজ প্রনোদনা দেওয়া হয়।
আলমপুর গ্রামের কৃষক মঞ্জুর আহমদ বলেন, বন্যার পানি থাকায় চারাধান কিনে এনে রোপণ করছি। বন্যার পানির কারণে নোয়াগাঁও গ্রামের কৃষক মজলিস মিয়া বলেন, আমাদের এলাকায় পানির জন্য সময়মতো বীজতলা প্রস্তুত করতে পারিনি, তবুও চারাধান রোপণ করছি, আশাবাদী এবার ভালো ফলন হবে।
গন্ধর্বপুর গ্রামের কৃষক এখলাছুর রাহমান বলেন, এবার আমন ধান চাষাবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম, বন্যার পানি দেরিতে কমেছে, এখন চাষাবাদ শুরু করতে পারছি। কৃষক মাসুম খান বলেন, চাষের জমিতে প্রচুর পরিমাণ পলিমাটি পড়েছে, এখন বীজধান ছিটিয়ে ফেলছি, আল্লাহ দিলে ফলন পাবো।
জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কাওসার আহমেদ বলেন, এখন বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে, আমাদের যে লক্ষ্যমাত্রা নয় হাজার ছয়শত চার হেক্টর, আশাবাদী আমনে লক্ষ্যমাত্রা এবারও ছাড়িয়ে যাবে, এখন আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে চাষাবাদে আর কোনো সমস্যা হবেনা, আগের চেয়ে আমন ধান চাষাবাদের প্রবণতা বেড়েছে, কৃষি অফিস কৃষকের সকল সুযোগসুবিধা সহ পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।##
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।