নিজস্ব প্রতিবেদক:
মিথ্যা অভিযোগে কারাগারে বন্দী রেখে সঠিক চিকিৎসা না দিয়ে আওয়ামী সরকার আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে হত্যা করা হয়েছে। এজন্য আমরা আন্তর্জাতিকভাবে তদন্ত করার জন্য জোড় দাবি জানাচ্ছি। আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী তিনি সবসময়ই
মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে
তার শহীদি মৃত্যুর জন্য দোয়া কামনা করতেন। আল্লাহ তায়ালা তাহার মনের সেই ইচ্ছা পূরণ করেছেন। আল্লামা সাঈদী সাহেব সারাবিশ্বে ইসলামি হুকমত ও কল্যাণকর ইসলামি সমাজ প্রতিষ্ঠা ছিল তার স্বপ্ন।
( ইউরোপ -) বাংলাদেশী কমিউনিটি পরিচালিত ভিয়েনায় বসবাসরত বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের মিলনমেলা ‘- ভিয়েনা মুসলিম সেন্টার ও মাসজিদুল ফালাতে -( ১৫ আগস্ট মঙ্গলবার -) আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী সাহেবের গায়েবানা জানাজা সম্পন্ন হয়। উক্ত গায়েবানা জানাজায়, বাংলাদেশী কমিউনিটি মুসলমানদের পাশাপাশি, ( ভিয়েনায় -) বসবাসরত বিশ্বের অন্যান্য দেশের মুসলিম সমাজের কয়েক শতাধিক মানুষ জানাজায় উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ, আরবী, তুর্কীশ, বসনিয়া, চেচেনিয়ান, আফ্রিকান, ও এশিয়ান কমিউনিটির শত শত মুসলমানদের উপস্থিতিতে তিউনিসিয়ান মুসলিম কমিউনিটির বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন, অস্ট্রিয়ায়,মুসলিম সমাজে ‘- হালাল ” খাবারের প্রত্যয়নকারী, ডক্টর বুফালগারের ইমামতিতে গায়েবানা জানাজা সম্পন্ন হয়।
গায়েবানা জানাজায় উপস্থিত মুসলিম কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ বলেন – আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী রাজাকার ছিলেননা। এটা বারবার বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের তদন্ত রিপোর্টে প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু এই অবৈধ আওয়ামী সরকার পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে হত্যা করা হয়েছে।
উপস্থিত মুসলিম কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ আরও বলেন আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর জনপ্রিয়তাকে সরকার ভয় পায়। তাই সরকারের এই দু:সময়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সরকারের ষড়যন্ত্র ছিল অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মত জুডিশিয়াল কিলিং করা। কিন্তু পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রে ফাঁসির রায়ের পর জনরোষ সরকার দেখেছিল। এই জনরোষের ভয়ের পরবর্তীতে তাঁকে আজীবন কারাগারে আটক রাখার ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু ফ্যাসিবাদি সরকার এখন টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে। এই অবস্থায় আল্লামা সাঈদীকে হত্যার মাধ্যমে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে সরিয়ে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে চায়, এই অবৈধ আওয়ামী সরকার।
ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ এই ভিয়েনা শহরে ইসলাম প্রচারের স্বার্থে আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী একাধিকবার এসেছেন। ভিয়েনায় বসবাসরত হাজারো হাজারো মুসলিম কমিউনিটির লোকজন আল্লামা সাঈদী সাহেবের কুরআনের মাহফিলের মধ্যে উপস্থিত থেকে একান্তভাবে তিনির সান্নিধ্য পেয়েছেন। তাদের সেই সান্নিধ্যে স্মৃতিগুলো আজও ভিয়েনার মুসলমানদের মনের স্মৃতিতে ভেসে ওঠে।
উক্ত গায়েবানা জানাজা নামাজে মুসলিম কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ডিএমসির চেয়ারম্যান মুরাদুল আলম, ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, মহিউদ্দিন আহমেদ, কমিউনিটি লিডার হেলালুদ্দীন, নুরুল্লাহ, ও মাসুদসহ আর-ও অনেকেই।