ভোলায় টানা বৃষ্টিপাত ও জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা
খন্দকার নিরব, ভোলা প্রতিনিধি
এখনও স্বাভাবিক হয়নি ভোলার উপকূলের বন্যা পরিস্থিতি। টানা কয়েকদিন দিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত ও জোয়ারে তলিয়ে গেছে ভোলার উপকূলের বিস্তীর্ণ কিছু জনপদ। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ। রাস্তাঘাট, বসত ঘরসহ বিস্তীর্ণ কিছু এলাকা ডুবে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে উপকূলজুড়ে। এছাড়া খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকটের পাশাপাশি ছড়িয়ে পড়েছে পানিবাহিত নানা রোগ।
এদিকে ভোলা সদরের রাজাপুর ইউনিয়নের সাত গ্রামসহ কাচিয়া, মাঝের চর, ধনিয়া, মদনপুর, মেদিয়া, চর পাতিলা, চর মুজাম্মেল ও ঢালচর সহ অন্তত ২০ গ্রামে প্রবেশ করেছে মেঘনার জোয়ারের পানি। এবং টানা কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন, দৌলতখান, লালমোহন, চরফ্যাশনের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এছাড়াও তজুমদ্দিন এলাকায় জোয়ারের প্রবল চাপে বেরিবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয়দের ধারণা, ১০ জেলার বন্যার পানিগুলো যদি মেঘনা নদী হয়ে বঙ্গোপসাগরে এসে পড়ে, এতে যদি পানির উচ্চতা বেড়ে যায় তাহলে আমাদের ভোলা মুহূর্তেই সাগরতলে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
ভোলা জেলার সাথে বাংলাদেশের অন্য কোনো জেলার স্থলপথে যোগাযোগ নেই। ঢাকা থেকে ভোলা সদরের দূরুত্ব ১৮৮ কিলোমিটার আর চরফ্যাশন ঢাকা থেকে প্রায় ২৫৬ কিলোমিটার দূরুত্বে অবস্থিত। ঢাকা থেকে ভোলা লঞ্চ ছাড়া যোগাযোগের অন্য কোন ব্যাবস্থাও নেই। প্রায় ২০ লাখ মানুষের বসবাসের স্থান ভোলা জেলা। আর তাই আতংকিত ভোলা বাসী।