ঢাকাThursday , 2 May 2024
  1. অপরাধ
  2. অভিযোগ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন ও বিচার
  5. আন্তর্জাতিক
  6. ইসলাম
  7. উদ্বোধন
  8. কৃষি বার্তা
  9. খেলাধুলা
  10. চাকরি
  11. জাতীয়
  12. জানাজা
  13. ডাকাতি
  14. তথ্য প্রযুক্তি
  15. নির্বাচন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভোলায় প্রবাসীর স্ত্রীকে বিয়ে করে অর্থ আত্মসাৎ ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ

Link Copied!

ভোলায় প্রবাসীর স্ত্রীকে বিয়ে করে অর্থ আত্মসাৎ ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ

মোহাম্মদ জুয়েল মাষ্টার,চিফ ব্যুরো এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার, মানবাধিকার প্রতিদিন

ভোলা বোরহানউদ্দিন উপজেলাদীন ৯নং বড় মানিকা ইউনিয়ন,কুড়ালিয়া ৪ নং ওয়ার্ড,গাজী বাড়িতে প্রবাসীর স্ত্রীকে বিয়ে করে অর্থ আত্মসাৎ করার পর শারীরিক নির্যাতনের মত নেককার জনক ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ কারিনি মোসাম্মদ আখি আক্তার (৩৫) বলেন,আমি আমার বাবা:মৃত,আব্দুল হালিম মিয়া, মাতা:নুরি বেগম (৫৫) এর সন্তান। মাএ ১৪ বছর বয়সে, প্রবাসী মোহাম্মদ তোফাজ্জলের সাথে বিয়ে হয়। আমারই ওরসে প্রবাসী মোহাম্মদ তোফাজ্জলের ২ সন্তানের জননী হই। সুখে শান্তিতে আমার দিনগুলো কাটছিল।পরিবারে সন্তান,স্বামী এবং শ্বশুর বাড়ির লোক-জন নিয়ে খুব ভালোই ছিলাম।

মোসাম্মদ আখি আক্তার (৩৫) আরো জানান,আমার স্বামী:প্রবাসী মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন দুরে থাকার সুযোগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে,মোহাম্মদ নুরুদ্দিন গাজী (২৮) এর সাথে প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগা-যোগ হয়। এক পর্যায়ে আমার স্বামী:প্রবাসী মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন এবং আমার পূর্বের সংসার সম্পর্কে তাকে বিস্তারিত সব কিছু জানাই।এক পর্যায়ে আমার বর্তমান স্বামী:মোহাম্মদ নুরুদ্দিন গাজী (২৮) কে আমার সাথে যোগাযোগ না করার জন্য অনুরোধ করি এবং তাকে বলি আমার সংসার আছে,আমার ২ জন সন্তান আছে। আপনি আমার সাথে যোগাযোগ রাখলে আমার সংসার ভেঙে যাবে।তাই দয়া করে,আপনি আমাকে বিরক্ত করবেন না এবং আমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবেন না কিন্তু সে আমার কথা না শুনে আমার সাথে যোগাযোগ চালিয়ে যান এবং এক পর্যায়ে আমার বর্তমান স্বামী: মোহাম্মদ নুরউদ্দিন গাজী (২৮) এর সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক গরে ওঠে। প্রবাসী মোহাম্মদ নুরুদ্দিন গাজী, আমাকে আশ্বস্ত করেন যে,সে আমার এবং আমার সন্তানদের ভরন-পোষণের দায়িত্ব নেবেন।এই ভাবে প্রবাসী মোহাম্মদ নুরুদ্দিন গাজী (২৮)এর সাথে দীর্ঘ ৪ বছর প্রেমের সম্পর্ক চলতে থাকে।প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে, আমার কাছ থেকে তিনি লক্ষ লক্ষ টাকা বিভিন্ন অজুহাতে হাতিয়ে নেন। এক পর্যায়ে মোহাম্মদ নুরুদ্দিন গাজী আমাকে বিয়ে করবে বলে, আমার বর্তমান স্বামী: মো. নুরউদ্দিন (২৮),মোহাম্মদ নুরুদ্দিন গাজীর বড় ভাই,মোহাম্মদ মমিন গাজী (৩৫) এবং বোন জামাই, মোহাম্মদ মন্তাজ মিয়া (৫৫) মোহাম্মদ নুরুদ্দিন গাজী (২৮) ও আমি মোছাম্মদ আখি আক্তার (৩৫)এর সাথে বিবাহ দেয়ার জন্য, আমার স্বামী:মোহাম্মদ তোফাজ্জল মিয়ার সংসার থেকে আমাকে এবং আমার সাথে থাকা ৫ বড়ি স্বর্ণ এবং ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা সহকারে উপরে উল্লেখিত ব্যক্তিগণ আমাকে তাদের নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন।এর পর ৩০/০৯/২০২৩ ইং তারিখে স্থানীয় কাজী মোহাম্মদ নুরে আলম এর দ্বারা ৫ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করিয়া আমার বর্তমান স্বামী:মো.নুর উদ্দিন গাজী (২৮)এবং আমি মোসাম্মদ আখি আখতার (৩৫)কে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করেন। বিয়ের পর আমার বর্তমান স্বামী:মোহাম্মদ নুরুদ্দিন গাজীর বাড়িতে ৩ মাস সংসার করি।পরবর্তীতে আমার বর্তমান স্বামী:মোহাম্মদ নুরুদ্দিন গাজী এবং তার বড় ভাই মোঃ মমিন গাজি, তার বোন জামাই মনতাজ মিয়া, আমার কাছে থাকা অর্থ এবং স্বর্ণ অলংকার বিভিন্ন কৌশলে আত্মসাৎ করেন। হঠাৎ একদিন আমার বর্তমান স্বামী:মোহাম্মদ নুরুদ্দিন গাজী (২৮) প্রবাসের ছুটি বাড়ানোর নাম করে,ঢাকা চলে যান এবং সেখান থেকে আমাকে না জানিয়ে প্রবাসে চলে যান।প্রবাসে চলে যাওয়ার পর। আমি তার সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগা-যোগ করার চেষ্টা করলে, আমার সাথে তেমন একটা যোগা-যোগ করতেন না।যদিও বা মোবাইল ফোন ধরতেন,ধরার পর, আমাকে নানা ভয়-ভীতি ও অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ এবং আমি যদি তাদের বাড়ি থেকে চলে না যাই তাহলে,আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রধান করেন।তারা এখানেই ক্ষান্ত হয়ে যাননি,আমার বিবাহ যে কাজী পরিয়েছিল সেই,মোহাম্মদ নুরে আলম কাজীকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে আমার বিয়ের কাবিনের মোহরানা ৫ লক্ষ টাকাকে ২ লক্ষ টাকা বানিয়ে ফেলেন।এক পর্যায়ে আমার বর্তমান স্বামী:নুরুদ্দিনর গাজীর বড় ভাই,মোহাম্মদ মমিন গাজী(৩৫) আমার শীলতাহানি করার চেষ্টা করেন। আমি যাতে পাড়া প্রতিবেশী কারো সাহায্য এবং কারো সাথে যোগাযোগ করতে না পারি,তার জন্য আমাকে ১০ দিনের মতো রুমের ভিতরে আবদ্ধ করে রাখেন এবং আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন।আমি বেচে থাকা ও জীবন বাঁচানোর তাগিদে আমার বাড়ীর আত্মীয় স্বজনদেরকে খবর দিলে তারা এসে আমাকে নিয়ে যান এবং চিকিৎসার জন্য পর ঘোনা পাড়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন।

স্থানীয় জানা যায় যে,পাড়া-প্রতিবেশী ও শালিশ মো.আলমগীর হাওলাদার সংবাদকর্মীদের বলেন, যে মোসাম্মদ আখি আক্তার (৩৫)এর সাথে মোহাম্মদ নুরুদ্দিন গাজী (২৮) এর সাথে প্রায় ৪ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং এই সম্পর্কের জের ধরে মোহাম্মদ নুরউদ্দিন গাজী (২৮) এর সাথে বিয়ে হয়,বিয়ে হওয়ার ৩ মাস পর মোহাম্মদ নুরুদ্দিন গাজী (২৮) তার স্ত্রী মোসাম্মদ আখি আক্তারকে না বলে প্রবাস চলে যায়। তার পর শুরু হয়ে যায়,পরিকল্পনা মাফিক মোসাম্মদ আখি আক্তারের উপর অমানুষিক নির্যাতনের স্টিম রোলার। নুরুদ্দিন গাজীর বড় ভাই মোহাম্মদ মমিন গাজী আখি আক্তারকে রুমের ভিতর আবদ্ধ করে রাখেন। আখি আক্তারকে শীলতা হানি সহকার তার উপরে শারীরিক মানসিক নির্যাতন চালান। এক পর্যায়ে স্থানীয় প্রভাবশালী গণ্যমান ব্যক্তি বর্গের কাছে ন্যায্য বিচার চেয়েও বিচার পাননি। পরবর্তীতে জীবন বাঁচানোর তাগিদে স্বামী:নুরউদ্দিন গাজীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে চলে যান।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং ভোলা ২ আসনের সফল সংসদ সদস্য মানবতার ফেরিওয়ালা আলহাজ্ব আলী আজম মুকুল (এমপি) মহোদয় ও সরকারের বিচার-ব্যবস্থা ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর আমার পরিপূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা আছে। আর তাই তিনি বলেন,আমি আমার বর্তমান স্বামী:মোহাম্মদ নুরউদ্দিন গাজীর সাথে সংসার করতে চাই এবং আমার সাথে ঘটে যাওয়া প্রতিটি অন্যায়ের তদন্ত সাপেক্ষে সুস্থ বিচার চাই।

Design & Developed by: BD IT HOST