মহাসড়কে ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ী পোড়ানো ও নাশকতাকারীদের অর্থের যোগানদাতা এবং সমন্বয়কারী দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭
মোঃ সালেক উদ্দিন।
প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম জেলা।
প্রকাশনাঃ ৫ নভেম্বর ২০২৩ ইং।
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড এলাকায় মহাসড়কে ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ী পোড়ানো ও নাশকতাকারীদের অর্থের যোগানদাতা এবং সমন্বয়কারী দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
গত ০১ নভেম্বর ২০২৩ইং বিকাল আনুমানিক ১৪৩০ ঘটিকায় চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পস্থিছিলা এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ডাকা তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচীর ২য় দিনে আনুমানিক ১৫০/২০০ জন নাশকাতাকারী বে-আইনীভাবে দলবদ্ধ হয়ে নাশকতা করার উদ্দেশ্যে অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জনমনে আতংক সৃষ্টির লক্ষ্যে ককটেল বিস্ফোরণ এবং রাস্তায় গাছ ফেলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। এসময় দিদারুল আলম ব্রাদাস ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি নামীয় একটি রড বোঝাই লরি চট্টগ্রাম হতে ঢাকার উদ্দেশ্যে গমনকালে সীতাকুন্ডের পন্থিছিলা এলাকায় নাশকতাকারীরা লরিতে ইট পাটকেল নিক্ষেপ এবং ভাংচুর করে। পরবর্তীতে নাশকতাকারীরা পেট্রোল জাতীয় দাহ্য পদার্থ দ্বারা ট্রাকে আগুন দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সীতাকুন্ড থানা পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
উক্ত ঘটনায় লরির সুপারভাইজার মনির উদ্দিন (২৩) বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড মডেল থানায় ২৪ জনকে নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ১৫০/২০০ জনকে আসামি করে একটি নাশকতার মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০২/৪৬৪, তারিখ-০২ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ,ধারা-১৪৩/১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩৪২/৪২৭/৪৩৫/১১৪/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০ তৎসহ The Explosive Substance Act 1904 এর ৩/৪।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম সূত্রে বর্ণিত মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরদারীর এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গত ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ইং রাত আনুমানিক ১৮৩০ ঘটিকায় সীতাকুন্ড থানাধীন বাশঁবাড়ীয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি ১। মোঃ রেজাউল করিম (৩০), পিতা- জকিল আহম, সাং-আকিলপুর এবং একই দিন বিকাল আনুমানিক ১৬৪৫ ঘটিকায় চট্টগ্রাম মহানগরীরর আকবরশাহ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি ২। নূরুল আবসার চৌধুরী (৫০), পিতা-মৃত মোতালেব চৌধুরী, সাং-মধ্যম বাশঁবাড়ীয়া, থানা-সীতাকুন্ড, জেলা-চট্টগ্রামদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে যে, অবরোধ কর্মসূচী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি, ভাংচুর, অগ্নি সংযোগসহ নাশকতাকারীদের অর্থের যোগানদাতা ও সমন্বয়কারী বলে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।