মাদারীপুরে সাংবাদিকদের উপর হামলা মোবাইল ক্যামেরা ভাংচুর, থানায় মামলা
মোঃ হেমায়েত হোসেন খান
ডাসার মাদারীপুর প্রতিনিধি : —
( ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩) মঙ্গলবার বিকালে মাদারীপুর সদর উপজেলার ভাংগা ব্রিজ হইতে নব নির্মিত টুঙ্গিপাড়া সড়কের
মস্তফাপুর ইউনিয়নের খৈয়ার ভাংগা নামক স্থানে সড়ক ও জনপথের সরকারি জমি ও সড়ক কেটে পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজের চিত্র ধারণ করার সময় সাংবাদিকদের উপর আতর্কিত হামলা, ক্যামেরা, মোবাইল ও মাইক্রোফোন, মটর সাইকেল ভাংচুর এবং টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে কতিপয় ভূমিদস্যু ও দূর্বৃত্তরা।
এই বিষয়ে এশিয়ান টেলিভিশন এর মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি মাসুদ হোসেন খান বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে উল্লেখিত বিবাদীগন
মো: মুজাম মাতুব্বর (৬০), পিতা- মৃত: ছোমেদ মাতুব্বর, ২। জালাল মাতুব্বর (৩০), ৩। জামাল মাতুব্বর (৩৮), উভয় পিতা- মো: মুজাম মাতুব্বর, ৪। নাজমা বেগম (৩০), স্বামী- জামাল মাতুব্বর, সর্ব সাং- পূর্ব খৈয়ার ভাঙ্গা, ইউনিয়ন- মস্তফাপুর, থানা ও জেলা মাদারীপুর গন সহ অজ্ঞাত আরো ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে কম্পিউটার টাইপকৃত এজাহার দায়ের করিয়াছে যে, গত ০৭/০২/২০২৩ ইং তারিখ বিকাল অনুমান ৪:০০ ঘটিকার সময় আমি মাসুদ হোসেন এশিয়ান টেলিভিশনের মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি সহ অন্যান্য মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকগন ভাঙ্গা ব্রিজ শশীকর রাস্তা দিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য ডাসার উপজেলায় যাওয়ার পথে দেখিতে পাই পূর্ব খৈয়ার ভাঙ্গা সড়ক ও জনপদ রাস্তার সংলগ্নে রাস্তা কাটিয়া উপরোক্ত বিবাদীগন পাকা স্থাপনা নির্মান করিতে থাকায় আমরা উক্ত স্থাপনার ভিডিও চিত্র ধারন করিলে ১ নং বিবাদী অবৈধ জনতা বন্ধে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে যেমন- রামদা, ছেদা, লোহার রড়, বাঁশের লাঠি, চাইনিজ কুড়াল ইত্যাদিতে সজ্জিত হইয়া আসিয়া ২, ৩ ও ৪ নং বিবাদীগন সহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জন বিবাদীগনদের হুকুম দিয়া বলে যে, সালার বেটাদের কোপাইয়া পিটাইয়া খুন করিয়া ফেল, উক্ত হুকুম পাইয়া বিবাদীগন আমাদের উপর ঝাপাইয়া পড়িয়া আমাদের এলপাথারী কিল, ঘুষি, লাথি মারিয়া আমাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলা ফোলা জখম করে। বিবাদীগণ আমার ভিডিও ধারনকৃত ইনফিনিক্স কোম্পানীর স্মার্ট ফোন যাহার মূল্য- ১৬,০০০/- (ষোল হাজার) এবং আমার ক্যামেরা ম্যান শামীম খান (২৫) এর হাতে থাকা এশিয়ান টেলিভিশনের প্যানাসনিক কোম্পানীর ভিডিও ক্যামেরা যাহার বর্তমান মূল্য- ৮৫,০০০/- ( পচাশি হাজার) টাকা, বুম মাইক্রোফোন যাহার বর্তমান মূল্য- ৫,০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা এবং আমার সহকর্মী মো: এমদাদ শেখ (৪০) এর স্যামস্যাং কোম্পানীর একটি স্মার্ট ফোন যাহার বর্তমান মূল্য- ১৮,৯০০/- (আঠারো হাজার নয়শত) টাকা ভাঙ্গিয়া ফেলে। ৪ নং বিবাদী আমার ব্লেজারের বাম পকেটে থাকা নগদ ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা জোরপূর্বক ছিনাইয়া নিয়া যায়। ৩ নং বিবাদী আমার গলায় থাকা ১ ভড়ি ওজনের একটি স্বর্নের চেইন যাহার আনুমানিক বাজার মূল্য- ৮০,০০০/- (আশি হাজার) টাকা। ২ নং বিবাদী আমার ক্যামেরা ম্যানের হাতে থাকা একটি ঘড়ি যাহার বাজার মূল্য- ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা জোরপূর্বক নিয়া নেয়। বিবাদীগনদের হাত হইতে বাঁচিতে আমার মটর সাইকেলে উঠিয়া পালাইতে গেলে ২ নং বিবাদী আমার মটর সাইকেল এর পিছনে একটি বাঁশের লাঠি দিয়া বাড়ি মারিয়া পিছনে থাকা ব্যাক লাইট ভেঙ্গে ফেলে। উক্ত বিবাদীগন আমাদের প্রায় ২,৫৯,৯০০/-(দুই লক্ষ উনষাট হাজার নয়শত) টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। বিবাদীগন আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ অশ্লীল ভাষায় হুমকি ধামকি এবং প্রান নাশের ভয়ভীতি দেখাইয়া আমার সম্মানহানী করে। একপর্যায়ে বিবাদীগন আমাকে মারধোর করার জন্য দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র যেমন- রামাদা, ছেনদা, লোহার রড়, বাঁশের লাঠি ইত্যাদি লইয়া তাড়া করিলে আমি এবং আমার সহকর্মী গন কোন মতে বিবাদীগনদের হাত হইতে পালাইয়া আসি। এমতাবস্থায় আমি এখন চরম আতঙ্কিত এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি। বিবাদীগন যেকোনো সময়ে আমার ক্ষতি সাধন করিতে পারে। উক্ত বিষয়ে আমি জেলা প্রশাসক মহোদয়, মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সড়ক ও জনপদ প্রকৌশলী মহোদয়গণদেরকে অবগত করি এবং ঘটনার বিবাদীগণদের বর্ণিত আচরনের ভিডিও চিত্র সংরক্ষিত আছে।