থাকলে গাছ বাঁচবে পরিবেশ ,চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আমির হোসেন তার কাজের মধ্য দিয়ে মানুষের ভালবাসার পাত্রে পরিনত হয়েছে, তার ভিতরে গাছ লাগানোর যে প্রবনতা কাজ করে সেটা মানুষের কাছে গিয়ে প্রকাশ করে এখন পর্যন্ত প্রায় কয়েক হাজার গাছ তার হাতে লাগানো হয়েছে, তার ভিতরে আছে মেহেগনি,কাঁঠাল, জাম,পাইকড়,তালগাছ সহ বিভিন্ন ফলের গাছ,রাস্তার দুই ধারে গাছ লাগিয়ে এলাকার মানুষের কাছে মানবতার ফেরিওয়ালা নামে পরিচিত লাভ করে আমির হোসেন ।
এলাকায় কোন মানুষ মারা গেলে সবার আগে তার ডাক পড়ে গোর খুড়ার জন্য এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০র বেশি গোর খুড়ার কাজ তার হাত ধরে হয়েছে, মানবাধিকার প্রতিনিধি সরেজমিনে গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলে আমির হোসেন বলে আমি পেশায় একজন চাল মিস্ত্রি সারাদিন কাজ করে ৬০০ টাকা বেতন পায়, সে টাকা দিয়ে কিছু সংসারে খরচ করি আর বাকি টাকা দিয়ে বিভিন্ন গাছ কিনে রাস্তায় লাগায়,কোথাও ভাংগা রাস্তা দেখলে নিজ উদ্দোগে সেটা ঠিক করে দেয়,এই কাজ করতে গিয়ে আমার সংসার ঠিকমত চালাতে পারছিনা, গাছ লাগার কারন জানতে চাইলে সে আরো বলে আমি হয়তো একদিন থাকবো না কিন্তু আমার লাগানো গাছ বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসা রাস্তায় থাকবে, আর এটা দেখে আজ যারা ছোট আছে তারা ও একদিন এমন ভালো কাজ করবে বলে আমি মনে করি ।
সরকারি কোন সহযোগিতা পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে সে আরো বলেন বেশ কিছু দিন আগে আমাকে নিয়ে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম টিভিতে সংবাদ প্রচার করলে ও এখন পর্যন্ত কোন ছাড়া মিলে নেই সরকারের কোন কর্মকর্তার পক্ষ হতে তবে সরকার যদি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে আমি যতদিন বাঁচবো ততদিন আরও বেশি করে গাছ লাগানো সব বিভিন্ন ভাঙ্গাচড়া রাস্তা মেরামত করতে পারবো। প্রসঙ্গত আমির হোসেন এর বিষয়ে বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন কে জিজ্ঞেস করলে সে বলে লাগে একজন খুঁজে পাওয়া যাবে পক্ষ থেকে সব ধরনের ।
সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন কর্মকর্তা জনাব আফতাব উদ্দিন বলেন আমি শুনেছি আমিরের কথা তাই উপজেলা পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনের ব্যবস্থা করব পাশাপাশি সে জানিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে পারে তার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে গেছে না কিছু আর দিব কোন সাড়া মেলেনি সরকারের কোন কর্মকর্তার পক্ষ হতে,তবে সরকার যদি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে আমি যতদিন বাঁচবো ততদিন আরো বেশি করে গাছ লাগানো সহ বিভিন্ন ভাংগা চুরা রাস্তা মেরামত করতে পারবো ।
প্রসংগত,আমির হোসেনের বিষয়ে বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রহুল আমিন কে জিজ্ঞেস করলে সে বলে এ ধরনের মানুষ লাকে একজন খুজে পাওয়া যাবে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব আফতাব উদ্দিন বলেন আমি শুনেছি আমিরের কথা তাই উপজেলার পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনার ব্যবস্থা করবো,পাশাপাশি সে যেন এ কাজ চালিয়ে যেতে পারে তার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে।