মানব দরদী শাহানাজ বেগম
নূপুর খান, স্টাফ রিপোর্টার
একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে কাজ করলেও নিজের উদ্যোগে করে যাচ্ছেন পরোপকার । স্বামী-সন্তান নিয়ে যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে বসবাস করেন তিনি ।
মানুষের বিপদ বা কষ্টের কথা শুনলে দৌড়ে তাদের পাশে গিয়ে দাড়াঁন । চেষ্টা করেন বিপদ দূর করার, নিঃস্বার্থভাবে তার সাধ্যমত করেন উপকার ।
তার সাথে কথা বলে আমাদের মানবাধিকার প্রতিদিন পত্রিকায় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি তার কিছু উপকারের কথা ।
সাগর ও ইভা নামে দুজন-দুজনকে ভালবেসে বিয়ে করায় পরিবারের কেউ মেনে না নেওয়ায় খুব বিপদে পড়ে যায় ওরা আর সহযোগিতা চায় শাহানাজ বেগমের কাছে । শাহানাজ বেগম তার কাছে রেখে ওদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেন এবং ছেলেটির একটা কাজের ব্যবস্থা করেন তিনি । কিছুদিন পর মেয়েটি অন্তসত্ত্বা হলে মেয়েটির যাবতীয় দায়িত্ব তার হাতেই রাখেন, নিজ খরচে সন্তান হওয়া পর্যন্ত সমস্ত দায়িত্ব শাহানাজ বেগম একজন মায়ের মত পালন করে
রবিউল ও আহাদ নামের দশ ও বার বছরের দুটি অসহায় বাচ্চাকে নিজ খরচে মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে উপকার করেন টিউমার যুক্ত বাবা ও মানুষের বাসায় কাজ করা মায়ের । আরিফ নামের একটি দশ বছরের বাচচাকে নিজের খরচে মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে পাশে থাকেন একজন অসহায় মায়ের ।
পারিবারিক দ্বন্দ্বে বিনা অপরাধে জেলে যেতে হয় মোমেন নামের একজন বৃদ্ধ মানুষকে । শাহানাজ বেগম নিজে বুদ্ধি,টাকা আর পরিশ্রম করে সমস্ত তথ্য-প্রমান যোগাড় করে ছাড়িয়ে আনেন নির্দোষ মানুষটিকে ।
শিল্পী নামের ৩০ বছর বয়সী একজন কিডনী রোগী মহিলাকে
নিজ দায়িত্বে ঢাকার মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা করাচ্ছেন । এমন অনেক মানুষের উপকার করে যাচ্ছেন মানবাধিকার কর্মী মানব দরদী শাহানাজ বেগম ।যখন কারো বিপদের কথা শোনেন নিজের আগ্রহে দৌড়ে গিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ান তিনি । এভাবেই মানুষের উপকারের জন্য একের পর এক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তিনি ।
দৈনিক মানবাধিকার প্রতিদিন পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার নূপুর খানের সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন আমি আমার শক্তি ও স্বামর্থ অনুযায়ী আজীবন চেষ্টা করে যাবো সাধারন মানুষের পাশে থাকার, তাদের জন্য কাজ করে যাওয়ার, তাদের সেবা করার ।
র্প্রত্যেকটা মানুষেরই উঁচিত শাহানাজ বেগমের মত মানব কল্যানে যার যার স্বামর্থ অনুযায়ী মানুষের পাশে থাকা । আমরা যদি এভাবে একে অপরের পাশে থাকি তাহলে অবশ্যই সমাজে শান্তি আসবে, সমাজের মানুষের মধ্যে শান্তি আসবে ।
মানুষ তাদের দ্বন্দ্বে ভূলে কাজ করে সফল হবে, সামনের দিকে এগিয়ে যাবে, আর তখন এগিয়ে যাবে আমাদের সমাজ, এগিয়ে যাবে আমাদের দেশ ।