ঢাকাশনিবার , ২৫ মে ২০২৪
  1. অগ্নিকান্ড
  2. অনুষ্ঠান
  3. অপরাধ
  4. অবৈধ বালু উত্তোলন
  5. অভিনন্দন
  6. অভিযোগ
  7. অর্থনীতি
  8. আইন ও বিচার
  9. আওয়ামী লীগ
  10. আওয়ামী লীগে
  11. আক্রান্ত
  12. আটক
  13. আত্মহত্যা
  14. আদালত
  15. আনন্দ মিছিল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মেহেরপুরে আরও নতুন পাকা ঘর পাচ্ছে ১৬০ পরিবার

Link Copied!

মেহেরপুরে আরও নতুন পাকা ঘর পাচ্ছে ১৬০ পরিবার

মোঃ কামাল হোসেন, মেহেরপুর প্রতিনিধি :

একটি থাকার জায়গার অভাবে কতদিন যে রোদে পুড়েছি আর বৃষ্টিতে ভিজেছি তার ঠিক নেই। কত রাত যে নির্ঘুম কাটিয়েছি তার কোন হিসেব নেই। এখন যেন মনে হচ্ছে স্বর্গে আছি। আমাদের জন্য একটি পাকা ঘর পাওয়া সপ্নের মত। খেজুর পাতার পাটি বুনতে বুনতে কথা গুলো বলছিলেন ষাটোর্ধ সুমেলা বেগম।

১ মেয়ে ও দুই ছেলে নিয়ে বসবাস করা মালা খাতুন বলেছেন, স্বামী অন্যত্র চলে গেছে অনেক আগেই। বাচ্চাদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় ঘুম হারাম হয়ে যেতো। জরাজীর্ণ একটি ঘরে বসবাস করতাম। নতুন একটি ঘর পেয়ে আমি যেন আনন্দে আম্তহারা।

মেহেরপুর সদর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে তৈরি করা হয়েছে সেমি পাকা ১৬০ টি ঘর। ১৬০টি পরিবারের প্রায় সাড়ে ৫শ সদস্য সেখানে বসবাস করছেন। আগামী ১০ জুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনলাইনের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন বলে জানাগেছে। সেদিন তাদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেয়া হবে ঘরের দলিল। তবে আগে থেকেই বসত করতে শুরু করেছে ভূমিহীনরা। দুটি কক্ষ, একটি বাথরুম, বারান্দা ও লাল-সবুজ রঙের টিনের ছাউনি রয়েছে ঘর গুলোতে।

সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে জানাগেছে, ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যায়ে সদর উপজেলার রঘুনাথপুর আশ্রয়নে নির্মাণ করা ১৬০ টি ঘর। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যায় ধরা হয়েছে ৩ লাখ টাকা করে। পাকা রাস্তা, পানি, বিদ্যুৎ ব্যবস্থাসহ বাচ্চাদের পড়াশোনার জন্য নির্মান করা হয়েছে একটি স্কুলও।

নতুন ঘর পেয়ে উচ্ছসিত সেখানকার বাসিন্দারা। কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। সেই সাথে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মেহেরপুর ১ আসনের সাংসদ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে। নতুন ঘর পেয়ে তাদের চোখে ছিল আনন্দাশ্রু।

মেহেরপুর শহর থেকে ৫ কিলোমিটার পশ্চিমে রঘুনাথপুর গ্রামে নির্মাণ করা হয়েছে ঘর গুলো। লাল-সবুজ রঙের টিনের ছাউনিতে ছেয়ে গেছে পুরো গ্রাম। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় সাড়ে ৫শ জন নতুন ঘরে রাত-দিন কাটাচ্ছেন। ঘরের সাথেই গরু-ছাগল পালন করছেন কেও, কেও করছেন নকশীকাঁথার কাজ আবার ঘরের সামনে কেও করেছে সবজীর আবাদ।

ছবেদা খাতুন নামের সুবিধাভোগী বলেন, এক সময় জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করতাম। রোদ-বৃষ্টি ছিল আমাদের নিত্যসঙ্গী। এমন একটি পাকা ঘরে জীবনের শেষবেলাতে এসে বসবাস করবো এটা সপ্নেও ভাবিনি। এটা যেন আমাদের কাছে সপ্নের মতো।

নুন আনতে পানতা ফুরানো মানুষগুলো বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় পেয়েছেন নতুন পাকা বাড়ি। তাদের য়য়েন কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। সবুর আলী নামের একজন বলেন, আমাদের কোন জমিজায়গা নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় আমরা একটি নতুন আধাপাকা ঘর পেয়েছি। এক ছেলে, দুই মেয়ে ও স্রীকে নিয়ে বেশ ভালো আছি।

মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান বলেন, এক সময় রঘুনাথ আশ্রয়নে খুবই জরাজীর্ণ অবস্থায় বসবাস করতো সেখানকার মানুষ। পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রী মহোদয়ের প্রচেষ্টায় পুরো গ্রামেই নির্মান করা হয়েছে নতুন ঘর। আগামী ১০ জুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।

Design & Developed by BD IT HOST