মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে সাতক্ষীরার কলারোয়ার সরসকাটি দাখিল মাদ্রাসায় পাতানো নিয়োগ
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি সাতক্ষীরা।
বোর্ডে বসানোর অভিযোগ উঠেছে। ওই মাদ্রাসার ইফতেদায়ী প্রধান ও গবেষণাগার/ল্যাব সহকারী পদে আগামী ২ ডিসেম্বর পাতানো নিয়োগ বোর্ড বসানো হবে।
তথ্যনুসন্ধানে জানা যায়, সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের সরসকাটি গ্রামের সরসকাটি দাখিল মাদ্রাসায় ইবতেদায়ী প্রধান ও গবেষণাগার/ ল্যাব সহকারি ২টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। মাদ্রাসাটির সুপার জানান দুটি পদে ইবতেদায়ী প্রধান পদে ৫ জন ও গবেষণাগার / ল্যাব সহকারী পদে ৭ জন আবেদন করে। তবে গবেষণাগার / ল্যাব সহকারী পদে একই ইউনিয়নের জামায়েত নেতা ও একাধিক নাশকতা মামলার আসামী জব্বারের ছেলে জাহিদ হোসেনকে ৮ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে পাতানো নিয়োগের পাঁয়তারা করছে মাদ্রাসার সভাপতি ও ইউপি সদস্য মোখলেসুর রহমান বাবু ও সুপার মাওলানা মুজিবর রহমান। এদিকে ইবতেদায়ী প্রধান পদে পাঁচ জন আবেদন করলেও মাদ্রাসার সভাপতি জানান প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি একজন শিক্ষককে জোর করে সরসকাটি দাখিল মাদ্রাসায় ইবতেদায়ী প্রধান পদে নিয়োগ দিবেন, যা নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
পাতানো নিয়োগের এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা মুজিবর রহমান জানান, ‘এ নিয়োগের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। যা লেনদেন হচ্ছে সভাপতির সাথে। কাকে নিবে কাকে নিবে না তিনিই জানেন।’
সরসকাটি দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি মোখলেসুর রহমান বাবু জানান, ‘আমি ওইভাবে লেনদেন করিনি। যে প্রার্থী চাকরি পাবে তাকে খরচ করতে হবে। তবে ইবতেদায়ী প্রধান পদে অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে একজন শিক্ষককে জোর করে এনেছি।
টাকার বিনিময়ে সরসকাটি দাখিল মাদ্রাসায় পাতানো নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওই নিয়োগের ডিজির প্রতিনিধি ড. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ‘আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নিয়োগের বিষয়টি আমার জানা নাই। তবে প্রার্থী যে দলেরই হোক না কেন মেধা তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করলেই নিয়োগ প্রদান করা হবে। নিয়োগ হবে স্বচ্ছ ভাবে। তবে পরীক্ষা চলাকালীন কোন প্রার্থী অভিযোগ দিলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’