যন্ত্রের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণের উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক
এএস নুসরাত জাহান খুশি,
রংপুর প্রতিনিধি।
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় অত্যাধুনিক রাইস ট্রান্সপ্লান্টের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণের উদ্বোধন করছেন রংপুর জেলা প্রশাসক ড.চিত্র লেখা নাজনীন। আজ মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি ) সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ধামুর বোল্লারপাড় এলাকায় অত্যাধুনিক রাইস ট্রান্সপ্লান্ট কার্যক্রমের অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক নিজেই ধানের চারা রোপণ করেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গঙ্গাচড়ার আয়োজনে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় রাইস ট্রান্সপ্লান্টরের সাহায্যে ধানের চারা রোপণের মাধ্যমে সমলয়ে চাষাবাদ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যয় জেলা প্রশাসক বলেন, আমাদের জমি কমেছে, বাড়ছে জনসংখ্যা, বাড়তি মানুষের খাদ্যের চাহিদা মেটাতে প্রয়োজন, ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি। আর এ জন্য দরকার আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার। এর অংশ হিসেবে সমলয় পদ্ধতি খুবই কার্যকর। এর মাধ্যমে আবাদি খরচ হ্রাস পায়, সময়ও লাগে কম। রোগ ও পোকাকে করা যায় সহজভাবে নিয়ন্ত্রণ। তাই চাষাবাদে কৃষক লাভবান হন।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব, নাহিদ তামান্না’র সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমিন,
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ ওবায়দুর রহমান মন্ডল, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান সাজু আহম্মেদ লাল ও রাবিয়া বেগম, কৃষক প্রতাপ চন্দ্র রায়, স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার মারুফা ইফতেখার সিদ্দিকা।
উপজেলা কৃষি বিভাগের সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এই প্রথম ধানের চারা রোপণে রাইস ট্রান্সপ্লান্ট অর্থাৎ যন্ত্রের মাধ্যমে চারা রোপণ শুরু হয়েছে। গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়নের ধামুর বোল্লারপাড় গ্রামের ৮৫ জন কৃষক সমবায় ভিত্তিতে সমলয় পদ্ধতিতে ১০০ একর জমিতে বোরো (হাইব্রিড দুর্বার) ধানের আবাদ করার উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রথম পর্যায়ে কৃষকদের কোন খরচ লাগছেনা। ধানবীজসহ সকল খরচ কৃষি বিভাগ বহন করছে। কৃষি বিভাগের সার্বিক সহায়তায় কৃষকরা এই নতুন পদ্ধতিতে ধান চাষ করতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, এই পদ্ধতিতে কৃষকের খরচ প্রায় অর্ধেক হবে। সনাতন পদ্ধতিতে যেখানে একর প্রতি ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়, সেখানে এই পদ্ধতিতে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা খরচ হয়।