রবিবার উন্মুক্ত হচ্ছে সুন্দরবন, বনজীবীদের স্বস্তি
রাজু আহমেদ, স্টাফ রিপোর্টার
টানা তিন মাস বন্ধের পর পর্যটক ও বনজীবীদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন।
জুনের ১ তারিখ থেকে বন্ধ হবার পর রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে উঠে যাচ্ছে সুন্দরবনে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা। জুন থেকে আগস্ট—এই তিন মাস প্রজনন মৌসুম হওয়ায় সুন্দরবনের নদী ও খালে থাকা বেশির ভাগ মাছ ডিম ছাড়ে। এ কারণে ১ জুন থেকে তিন মাসের জন্য জেলে ও পর্যটকদের সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বন বিভাগ।
রবিবার থেকে তা খুলে দেবার ফলে বনজীবীদের জীবিকার অন্বেষনে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি ও ব্যাস্ততা। শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন উপকূল ঘুরে দেখা গেছে ইতোমধ্যে জেলে, ট্যুর অপারেটর লঞ্চ ও বোট চালকরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন সুন্দরবনের প্রবেশের জন্য। সবার মধ্যে বইছে আনন্দ। পর্যটকদের বরণে সব আয়োজন শেষ করেছে ইকো-ট্যুরিজম গুলো। তবে পর্যটকদের বনে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের ব্যবহারে এবার থাকছে কড়াকড়ি। পানির বোতল, প্লাস্টিকের অন-টাইম খাবার প্লেট, সফট ড্রিংকসের বোতল ও পলিথিন ব্যবহার বন্ধে এবার কঠোর অবস্থানে সুন্দরবন বন বিভাগ।
বিশ্বের বৃহত্তম এই ম্যানগ্রোভ বনের উপর নির্ভরশীল মানুষ যাবে তাদের জীবিকার অন্বেষণে।
সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় ২০ লাখ দরিদ্র মানুষ তাদের জীবিকার জন্য পুরোপুরি অথবা আংশিকভাবে সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল। খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে এসব মানুষের বসবাস, যারা জীবিকার জন্য বছরের বিভিন্ন সময়ে মাছ, কাঁকড়া, গোলপাতা, মধু সংগ্রহের জন্য সুন্দবনের যান।