রানীশংকৈলে বেগুনের গাছ কেটে দিয়ে কৃষক কে করেছে নিঃস্ব
- মোঃ আব্দুল জব্বার রানীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:
মোঃ আব্দুল জব্বার রানীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের ভান্ডারা গ্রামের জেল নং ৮৯ দাগ নং ১৪৮৫ এর প্রায় ১০০শতক জমির বেগুন ফসলের গাছ কে বা কাহারা রাতের অন্ধকারে গত ১৯/১০/২৩ইং তারিখে কেটে দিয়েছে।
এই বিষয়ে সরজমিনে গিয়ে জমির মালিক মোঃ তোহা সাথে কথা হলে তিনি বলেন এই জমি আমি দলিল মুলে পৈত্রিক সূত্রে পাকিস্তান আমল থেকে জমিটি ভোগ দখল করে আসছি। কিন্তু গত জুন মাস থেকে মোঃ নুর আলম পিতা: মৃত আম্বর আলী, মোঃ মকবুল পিতা:কালা মিয়া,মোঃ দুলাল পিতা:তৈয়ব আলী এবং তাদের সাথে থাকা ৮/১০জন আসিয়া আমার জমির ফসল নষ্ট করে এবং চাষাবাদে বাধা বিঘ্নিত দিতে থাকে। এবং তিনি জমির মালিক দাবি করে । আমি এ বিষয়ে রানীশংকৈল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি । তারই পরিপেক্ষিতে রানীশংকৈল থানায় এ বিষয়ে একটি বৈঠক হয় এবং থানার ওসি বলেন যেটুকু জমিতে ফসল লাগা আছে সেটুকু যেন কেউ নষ্ট না করে পরে কাগজপত্র বিশ্লেষণ করে যে জমি পাবে তাকে দেওয়া হবে। আমি থানায় কয়েক বার হাজিরা দিলেও তারা উপস্থিত হননি। আমার ধারণা গতকালের ঘটনা তারাই ঘটিয়েছে। আমি আমার এই জমি মোঃ রবিউল ইসলামকে বাৎসরিক ৪৫ হাজার টাকায় চুক্তি দি ফসল আবাদ করার জন্য।
এই বিষয়ে চুক্তিপত্র চাষী মোঃ রবিউল এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এক টুকরো জমি ফেলে রাখা যাবে না। আমি জমির মালিকের কাছ থেকে জমি চুক্তি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঋণ নিয়ে এই চাষাবাদ করছি । কিন্তু গতকাল রাত্রে আমার ফসল নষ্ট করে আমার প্রায় ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতি করিয়েছেন। এতে আমি নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। তাই আমি আইন প্রশাসনের কাছে জোর দাবি করছি বিষয়টি তদন্ত করে এই ভূমিদস্যু ও ফসল বিনিষ্ঠকারীদের আইনের আওতায় আনা হোক।
এই বিষয়ে মোঃ নুর আলম এর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন বেগুন গাছ তুলে ফেলা বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।