জেলা প্রতিনিধিঃ
খুলনার রূপসা উপজেলার সামন্তসেনা এলাকায় পদ্মবিলের প্রবাহমান চারটি খাল প্রভাবশালীদের দখলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় হাজারো কৃষক সর্বশান্ত। খালগুলোর আঠারোবেকী নদীর সাথে সংযোগ , যার মাধ্যমে পদ্মবিলের তিন হাজার একর জমির সেচকার্য এবং প্রয়োজনের সময় পানি নিষ্কাশন করে চাষাবাদ করে আসছিল পদ্মবিলের আওতাধীন হাজারো কুষকেরা। সম্প্রতি একটি চক্র জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ইজারা গ্রহণ করে খালটির প্রবাহমান গতি রোধ করে মৎস্যচাষ শুরু করেছে। যেকারণে অতিবৃষ্টির কবলে পড়ে পানিতে ডুবে ধ্বংস হয়েছে হাজারো কৃষকের স্বপ্ন। পদ্মবিলের আওতাধীন কৃষকেরা এখন প্রায় সর্বশান্ত। পানির নীচে মৎস্যঘের ও সবজিক্ষেত। বছরের সকল মৌসুমে পদ্মবিল থেকে শত টন সবজি রাজধানী শহর ঢাকায় রপ্তানি করে চলেছে। সেখানে অশ্রুজলই কৃষকদের পুঁজি। কৃষকরা নিরুপায় হয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান করেন। হাজারো কৃষকের আকুতি ছিল জলাবদ্ধতা নিরসনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্থক্ষেপ চাই। কৃষক বাঁচলে-দেশ বাঁচবে এই ধারাবাহিকতায় কৃষকের বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- নৈহাটী ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক মহিউদ্দিন মিন্টু, টিএসবি সদর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আজিজুর রহমান, তপন সরদার প্রমূখ। স্মারকপত্রে জানা যায়- তিলক, পাথরঘাটা, দেবীপুর, নেহালপুর সামন্তসেনা, মৌজায় বসবাসকারী ক্ষতিগ্রস্থ জনগণ পদ্মবিল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির লিঃ এর আওতায়। এই সমগ্র এলাকার পানি সরবরাহের জন্য ৪টি গেট দ্বারা আঠারোবেকী নদীতে দ্রুত সংযোগ দিত। এ বিলে কৃষকরা প্রায় ৩ হাজার বিঘা জমিতে কৃষি ফসল ফলন সহ মৎস্য চাষের মাধ্যমে বছরে কোটি কোটি টাকা বিক্রয়পূর্বক দেশের চাহিদা পূরণ করতো। ভুক্তভোগী কৃষকরা আরো জানায়- পদ্মপুকুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি উত্তর বেদকাশী কয়রা, খোজাডাঙ্গা (বন্ধ) জলমহাল ইজারা নিয়ে আমাদের পদ্মবিলের পানি নিয়ন্ত্রন গেটের সমনে প্লাস্টিকের পাটা দিয়ে পানি প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে। অথচ তাদের ইজারাকৃত জলমহল এবং আমাদের পদ্মবিল খাল দুটি ভিন্ন এলাকায় অবস্থিত। তা স্বত্ত্বেও আমাদের প্রবাহমান পদ্মবিলের খাল জোরপূবর্ক দখলে নিয়েছে। এজন্যে আমরা কয়েকটি গ্রামের কৃষি ও মৎস্যজীবি মানুষ অর্থনৈতিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ছি। এই পদ্ম বিলের পানি খালে প্রবাহমান পথে বাধ সৃষ্টি করলে আঠারোবাকী নদীর সাথে আমাদের এলাকার খাল অকেজো হয়ে পড়বে। আমাদের নির্মিত গেটও অকেজো হবে। তাতে খালের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে। কৃষক বাঁচলে-দেশ বাঁচবে এই ধারাবাহিকতায় কৃষক বিক্ষোভ সমবেশে বক্তব্য রাখেন- টিএসবি সদর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আজিজুর রহমান।