লোহাগাড়া উপজেলার পাহাড়ি সম্পদ উজাড় হয়ে যাচ্ছে রক্ষা করা প্রয়োজন
কামরুল ইসলাম
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার লোহাগাড়া উপজেলার পাহাড়ি সম্পদে ও শস্যভাণ্ডারে পরিচিত চরম্বা, পুটিবিলা, চুনতি বর্তমানে উজাড় হয়ে যাচ্ছে । কিন্তু উৎপাদন নির্ভর অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ইউনিয়ন গুলোর বিভিন্ন পাহাড়ের মাটি ও গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে একটি অবৈধ সিন্ডিকেট । সম্প্রতি পাহাড়ি সম্পদ রক্ষা করতে বন বিভাগের কোন প্রকার ভুমিকা নেই বলেই চলে ।এই ইউনিয়ন গুলোতে শ্রেণি পরিবর্তন করে কোনো স্থাপনা না করতে উদ্যোগ নেওয়া দরকার বন বিভাগের। এছাড়া স্থাপনা নির্মাণ বন্ধসহ নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান চালানোর প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন সচেতন মহল । এখানে মোট আবাদি জমির অনুমানিক পরিমাণ ২ হাজার ৪শ হেক্টরেরও বেশি। প্রচলিত আছে, এই ইউনিয়ন গুলো সমগ্র বাংলাদেশের আড়াই দিনের ধানের যোগান দেয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, এই ইউনিয়ন গুলোর পাহাড়ি সম্পদ কেটে সম্প্রতি বাড়িঘর ও দোকানপাটসহ যত্রতত্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ সহ পাহাড়ি সম্পদ কেটে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে । এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পাহাড়ি সম্পদ। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। ভূমি ব্যবহার নীতিমালা–২০০১ এবং রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ত্ব আইন–১৯৫০ অনুযায়ী শ্রেণি পরিবর্তন করতে জেলা প্রশাসকের পূর্বানুমোদন প্রয়োজন।
চরম্বা, কলাউজান, পুটিবিলা পাহাড় কেটে গড়ে ওঠা বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদ অতিব প্রয়োজন । একইসাথে জাতীয় সম্পদ হিসেবে যেকোনো মূল্যে এই পাহাড়ি সম্পদ রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব। আর ফসলের আবাদ বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট অনুশাসন তম।
এই পাহাড়ি সম্পদ রক্ষায় বন বিভাগের কঠোর অবস্থান নেওয়া প্রয়োজনিয় জানিয়ে সচেতন মহল বলেন- উপজেলার মানুষ পাহাড়ি রক্ষার আন্দোলন হিসেবে দেখতে চায়।