যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ভারত থেকে আরও ২০৬ টন চাল আমদানি করা হয়েছে। গত চার দিনে এ পর্যন্ত দেশে মোট ৭২৫ দশমিক ৪ টন চাল এসেছে। চাল আমদানিতে প্রতি টনের খরচ পড়েছে ৪৩০ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫১ হাজার ৬০০ টাকা; এতে প্রতি কেজির মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৫১ টাকা ৬০ পয়সা।
বৃহস্পতিবার ২১/১১/২০২৪ রাত ১০টায় চালবোঝাই ছয়টি ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) কাজী রতন জানান, চাল আমদানির এই ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের বাজারে চালের দাম কমবে।
সরকারের শুল্ক প্রত্যাহারের ফলে চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে ১০২টি প্রতিষ্ঠান, যারা আগামী এক মাসে মোট পাঁচ লাখ ৮৭ হাজার টন চাল আমদানি করবে। এই চালের মধ্যে চার লাখ ২৫ হাজার টন সিদ্ধ এবং এক লাখ ৬২ হাজার টন আতপ চাল। চালগুলো ডিসেম্বরের মধ্যে বাজারজাত করতে হবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
চাল আমদানিকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মেসার্স মাহবুবুল আলম ফুড প্রোডাক্ট, মেসার্স অর্ক ট্রেডিং, মেসার্স এস এম এস এন্টারপ্রাইজ এবং মেসার্স সর্দার ইন্টারন্যাশনাল। ভারত থেকে চাল রপ্তানি করেছে সুধারাম আয়াত নিরায়াত প্রাইভেট লিমিটেড, কৃষ্ণা ট্রেডার্স এবং তপন ট্রেডার্স।
ব্যবসায়ীদের মতে, শুল্কমুক্ত সুবিধায় চাল আমদানির ফলে দেশের বাজারে চালের দাম দ্রুত কমতে শুরু করবে। উল্লেখ্য, প্রায় দুই বছর আগে বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি করা হয়েছিল, তখন আমদানি শুল্ক ছিল ৬২.৫%।