সরকারি রাজস্ব দিয়েও ব্যবসা করতে পারছে না অসহায় মনসুর আলী
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি সাতক্ষীরা।
আশাশুনি উপজেলার কুল্যায় দাবিকৃত চাঁদার টাকা দিতে না পারায় সরকারি কোষাগারে রাজস্ব দিয়েও হয়রানের শিকার হতে হচ্ছে এক ব্যবসায়ীর। সরকার বিরোধী বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত ও হলুদ সাংবাদিকের হাত থেকে রক্ষা পেতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নিরীহ ব্যবসায়ী মনসুর আলী।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে বুধহাটা গ্রামের মনসুর আলী ও তার স্ত্রী মোমেনা খাতুন দীর্ঘদিন যাবত বেতনা নদীর চরে অস্থায়ী ভাবে ঘর বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। তাদের পার্শ্ববর্তী স্থানে আব্দুল মজিদের চারজনের একটি পরিবার, মোসলেম আলীর তিনজনের পরিবার, আরিফুল ইসলাম এর চারজনের পরিবার, সাইফুল ইসলামের তিনজনের পরিবার ও রুবেল হোসেন পরিবার পরিজন নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বেতনা নদীর চরে অস্থায়ীভাবে বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করতেন।
বর্তমান সময়ে সরকারের উন্নয়নের অংশ হিসেবে বেতনা নদী খনন কাজ শুরু হলে খননকৃত মাটি রাখার জন্য ঘরবাড়ি ভেঙে সরিয়ে দেওয়া হয়। এ সকল পরিবার গুলো রাস্তার পাশে মানবেতর জীবনযাপন করায় পুনরায় তাদেরকে নদীর চরে বসবাসের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন মনসুর আলী। এছাড়া নদীর চরে ভরাট করে রাখা নদী খননের মাটি স্বল্প মূল্যে বিক্রয়ের জন্য জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা থেকে লিখিত ভাবে অনুমতি গ্রহণ করেন মাটি ব্যবসায়ী মনসুর আলী।
যেখানে তিনি ৪০হাজার ঘনফুট মাটি কর্তন বা বিক্রয়ের জন্য সরকারী কোষাগারে রাজস্বও প্রদান করেছেন তিনি। এর মধ্যে কাজ শুরুর আগেই মনসুর আলীর নিকট মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন সরকার বিরোধী বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত জৈনিক এক হলুদ সাংবাদিক। তার দাবীকৃত চাদার টাকা না দিয়ে বেআইনিভাবে কোন কাজ করা হচ্ছে না মর্মে জানিয়ে দিলে মাটি ব্যবসায়ী মনসুর আলীর নামে বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যাও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
এমতাবস্থায় অতি দ্রæত এহেন চাঁদাবাজদের না রুখলে কোন ব্যবসায়ীই সরকারি বা বেসরকারিভাবে নির্বিঘেœ ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবে না বলে মনে করেন মাটি ব্যবসায়ী মুনসুর আলী। অতি দ্রæত এ হলুদ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জেলা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।