সাতক্ষীরায় চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি সাতক্ষীরা।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাঁচরোক্ষী এলাকার হত দরিদ্র দিনমজুর মৃত সিয়াম উদ্দিনের ছেলে আবুল হোসেন গোলাদারের অভিযোগে তিনি বলেন আমার একমাত্র মেয়ে আসমা খাতুন কে সরকারি শিক্ষক পদের চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আমার আপন সহধর ছোট ভাই সোহরাব হোসেন আমার মেয়ের চাকরি দেয়ার নাম করে টাকা আত্নসাত করেছেন ।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন আবুল হোসেন গোলদার তিনি তার বক্তবে বলেন ,আমার একমাত্র কন্যা আসমা খাতুনকে অতিকষ্টে দিনমজুরির কাজ করে বি এ পাশ করিয়েছি । আমার মেয়ে সরকারী চাকরি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন দপ্তরের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদন করে ও চাকরি মেলেনি । এমতাবস্থায় আমি হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ি , এবং আমি মেয়ের চাকরি পাওয়ার ভরসা একেবারেই ছেড়ে দিয়ে মেয়েকে বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করি ।
বিষয়টি আমার আপন সহধর ভাই সোহরাবকে জানাইলে সে আমাকে মেয়ে বিয়ে দিতে নিষেধ করে বলে, আমি তোমার মেয়ে আসমা খাতুনকে সরকারি স্কুলের শিক্ষক পদে চাকরি পাওয়ায় দেবো, আমার শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে ভালো যোগাযোগ আছে তুমি আমার উপর বিশ্বাস রাখতে পারো। এই বলে আমার মেয়েকে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দুই কিস্তিতে আমার কাছ থেকে নগদ ৩ লক্ষ টাকা গ্রহন করে । পরবর্তিতে আমার মেয়েকে চাকরি না দিয়ে এবং কাউকে না জানিয়ে হঠাৎ করে মালেশিয়ায় চলে যাই ।
আমাদের সাথে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে , কয়েক বছর পর বিদেশ থেকে বাড়ি আসার পর আমার মেয়েকে চাকরি দিতে না পারায় আমি আমার দেয়া ৩ লক্ষ টাকা ফেরত চাইলে সে টাকা ফেরত দেবে বলে বিভিন্ন সময় কালখেপন করে বছরের পর বছর গড়িয়ে গেলে ও আজ ও সে টাকা ফেরত দেয়নি । বরং টাকা চাইতে গেলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি ধামকি দেয় । এ বিষয়ে প্রতারনার অভিযোগে অভিযুক্ত সোহরাব হোসেনের বক্তব্য নেয়ার জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে গিয়ে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায় । প্রতারক সোহরাবের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন আবুল হোসেন গোলাদার ও তার পরিবার।