সাতক্ষীরার আশাশুনিতে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে চলছে বেকারি কারখানা দেখার কেউ নাই
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি মোহাম্মদ রফিক সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরার জেলার আশাশুনি উপজেলায় বুধহাটা এলাকায় সততা ভাই ভাই বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বেকারির পণ্য স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে সর্বসাধারণ।পরিবারে ছোট বড় সবাই কমবেশি বিভিন্ন ধরনের রুটি, বিস্কুট, কেকসহ বাহারি বেকারী পণ্য খেয়ে থাকেন। বিশেষ করে বাসা বাড়িতে হঠাৎ করে অত্মীয়-স্বজনরা এলে এসব খাবার পরিবেশন করা হয়। শিশুদের পছন্দের খাবার হিসেবেও বেকারীর খাবার খুবই প্রিয়। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সমাজের কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা সাধারণ ভোক্তাদের সাথে প্রতারণা করে আসছে। খাবারের নামে তারা মানুষকে বিষ খাওয়াচ্ছে। সরেজমিনে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলায় বুধহাটা গ্রামে সততা ভাই ভাই বেকারি প্রোপাইটার নাসির উদ্দিন এর প্রতিষ্ঠানে অনুসন্ধান করে দেখা যায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে তৈরি করছে এসব পণ্য। খাদ্য তৈরী করার পাত্রগুলো অপরিষ্কার। যার মধ্যে মাছিসহ বিভিন্ন পোকামাকড় লক্ষ্য করা গেছে। বেকারীর মালিকরা তাদের নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পণ্যের পেকেট ব্যবহার না করে বাইরে থেকে ক্রয়কৃত পেকেট ব্যবহার করছেন। এসব খাবারের পেকেটে নেই কোন উৎপাদন, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ও মূল্য তালিকা। বিস্কুট কেজি হিসেবে এবং কেক ও বনরুটি বিক্রি হয় পিস হিসেবে। নাই কোনো বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) এর অনুমোদন। এছাড়াও, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের ব্যাপারে জানা নেই তাদের। অনুমোদনহীন খাবারের সঙ্গে বেকিং পাউডার, ইষ্ট ও অ্যামোনিয়াসহ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া বেকারির পণ্যই বাহারি রংয়ের কালার তৈরির জন্য কারখানার রং ব্যবহার করে থাকে এটা মানব শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর যা মানুষের লিভার কিডনি লাঞ্চ এর মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে। এটা অল্পবয়সী মানুষেরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকার কারণে বুঝতে পারেনা কিন্তু একটু বয়স হলেই তাদের শরীরে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিবে। এমনকি পরিবেশের ছাড়পত্র তাও তাদের নাই। এভাবেই প্রশাসনের নাকের ডগায় দীর্ঘদিন ধরে কোন কাগজছাড়াই নোংরা পরিবেশে বেকারির পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছে। এ বিষয়ে মুঠোফোনে বেকারি মালিকদের সাথে কথা বললে তারা বলেন আমাদের কোন কাগজ লাগে না আমরা এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে পণ্য বানায় এবং বিক্রি করি। বিএসটিআই কর্মকর্তাদের সাথে আমাদের কথা হয়, আপনারা রিপোর্ট করে আমাদের কি করবেন। এ বিষয়ে সমাজের সচেতন মহল মনে করেন আমরা যে খাবারগুলো প্রতিনিয়তঃ খেয়েই যাচ্ছি আসলে এটা স্বাস্থ্য সম্মত কিনা বিষ খাচ্ছি এটা খতিয়ে দেখা দরকার তাই প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এ সমস্ত বেকারিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়ে জোর দাবি জানায়।