কবিতা- মা- বাবা: কাজী শামসুল আলম
এম,এ,মান্নান, নিয়ামতপুর (নওগাঁ)
যখন আমি মাতৃগর্ভে তখন থেকেই সমস্যা,
আমার জন্য পাইনি খেতে হতো বমন হর হামেশা ।
একটু যখন উঠলাম বেড়ে উঠতে বসতে কষ্ট
পেটের মধ্যেই দিয়েছি জ্বালা ভাবতেই মাথা নষ্ট।
কতো আয়োজন আসবো আমি কতো কবিরাজ ডাক্তার
প্রসবের এতো জ্বালা তবু কেউ পাইনি নিস্তার।
আনন্দে সবার বুক ভরেছে কিন্তু কষ্ট হয়নি কম
কতো মা গেলো ওপারে শিশু হয়েই যম।
কতো রাত ঘুম পাড়েনি অসুস্থ শিশু নিয়ে
শীতের রাতের প্রস্রাব পায়খানা এগুলো তো নয় মিছে।
খাবার খেতে কতো সমস্যা কি বা পছন্দ তার
তার মুখে দিতেই পরম তৃপ্তি দুনিয়ার সকল বাবা মার।
যাঁদের হাতেই উঠতে শেখা যাঁদের সাথেই ঘুরতে
ভূলে গেছি আজ তাঁদের অবদান শিখেছি যে হাত ছাড়তে।
কি পড়াবো কোথায় পড়াবো ক্ষনে ক্ষনে টেনশন
কি করলে সন্তানের মঙ্গল হবে আপন জনের এই পন।
স্কুল কলেজের বই খাতা পোশাক অর্থ যোগাতে হায়
ভূলে গেছে তাঁরা নিজের চেহারা অনেক বাবা মাই।
সন্তানের সুখেই নিজের সুখ আরাম আয়েশ নাহি চায়
সকল দুঃখ সকল কষ্ট সন্তানের মুখ দেখেই ভূলে যায়।
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পেটে বেঁধে পাথর
পৃথিবীর সঙ্গে লড়াই করে পিতা মাতা মহ মোর।
সব আপদ সব বিপদ বুকে করিয়া পার
সন্তানের মহে পড়িয়া যেন পৃথিবীই মেনেছে হার।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।