গৃহবধূকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা, তিনজনের যাবজ্জীবন
বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এবং জেলা ও দায়রা জজ নরেশ চন্দ্র সরকার এই রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- ভোলাহাট উপজেলার বালুটুংগী গ্রামের মৃত গামজাদের ছেলে জাক্কার (৩৭), একই গ্রামের মৃত মিয়ারুদ্দিনের ছেলে মুনসুর আলী (৪০) ও মুশরীভুজা গ্রামের আব্দুল কারিমের ছেলে মফিদুল ইসলাম ওরফে সাহিরুল (৩৮)।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৭ আগস্ট ভোলাহাট উপজেলার ঘাইবাড়ী গ্রামে গরু-ছাগলের ঘাস কাটতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন ভোলাহাট উপজেলার মৃত এন্তাজ আলীর স্ত্রী সেমালী খাতুন কান্দুনী (৪৫)। ধর্ষণের পর তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। পরদিন সকালে মাথাবিহীন রক্তাক্ত মরদেহ উদ্বার করে স্থানীয়রা। এই ঘটনার পরেরদিন ১৮ আগস্ট রাতে ভোলাহাট থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন নিহতের মেয়ে শারাবনী বেগম। মামলার তদন্ত শেষে একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ভোলাহাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন। পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. এনামুল হক জানান, দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আজ বুধবার দুপুরে তিনজন আসামির উপস্থিতিতে বিজ্ঞ বিচারক এই রায় প্রদান করেন।