পাইকগাছায় বসত বাড়িতে হামলা ভাংচুর,লুটপাটের ঘটনায় আদালতে মামলা
পাইকগাছা(খুলনা) প্রতিনিধি:
পাইকগাছায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে বাড়ি ঘর ভাংচুর লুটপাট, মারপিটে ৩ জন আহত ও দুই লক্ষটাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাটি শনিবার ভোর রাতে পৌরসদরে পল্লিবিদ্যুৎ পাওয়ার গ্রিড এলাকায়। এ ঘটনায় পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হয়েছে। বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনের তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছে।
মামলা সুত্রে জানাগেছে, পৌরসভার গোপালপুর গ্রামের মৃত কোনাই গোলদারের পুত্র আব্দুল মজিদ গংরা পৌর সভার শিবের বাটি মৌজায় সি এস ৬ ও এস ৪৫ খতিয়ানে ১০ দাগ মিলে ৪৯ বিঘা জমিতে শান্তি পূর্ণ ভাবে বসবাস করে অসছেন। কিন্ত বর্তমান জরিপে ১০টি দাগ মিলে ৪২ শতক জমি গদাইপুর গ্রামের হেতাউল্লাহ নামে রেকর্ড হয়।
ইতিমধ্য উক্ত রেকর্ড সংশোধনের জন্য খুলনা জেলা জজ চতুর্থ আদালতে একটি মামলা করে। মামলাটি চলমান রয়েছে। এছাড়া একই আদালতে দলিল বাতিলের দাবিতে আরেকটি মামলা করে।যার নং ৩৪/২৩।মামলার বাদী জানান, ভুলক্রমে ও ভুয়া দলিল তৈরি করে বর্তমান জরিপে তাদের নামে রেকর্ড করে। এরই সূত্র ধরে আমাদের শত বছরের ভোগদখলে থাকা বসতবাড়িতে কাজী হেদায়েতুল্লাহর নেতৃত্বে ২০ /২৫-জন বহিরাগত লোকজন নিয়ে আমাদের বসতবাড়িতে সোমবার ভোররাতে হামলা মারপিট লুটপাট চালাল তিনজন আহত হয়।
এ বিষয় কাজী হেদায়েত উল্লাহ বলেন, আমি ক্রায় সুত্রের মালিক। এস এ থেকে বর্তমান জরিপ পর্যন্ত আমার নামে রেকর্ড আছে। আমি আমার জমিতে বাশ খুটি নিয়ে ঘর বাঁধতে গিয়েছিলাম। এ ঘটনায় আব্দুল মজিদ গোলদার বাদী হয়ে উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কাজী হেদায়েতুল্লাহকে এক নম্বর আসামি করে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ওয়াজ্ঞাতনামা ২২ জনের নামে মঙ্গলবার আদালতে মামলা করে।
আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনের তদন্ত রিপোর্টের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বলে বাদী পক্ষের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।