শনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

পুটিবিলার কোন প্রকার অবৈধ বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত নয় ইকবাল মেম্বার

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৩

পুটিবিলার কোন প্রকার অবৈধ বালু উত্তোলনের সাথে
জড়িত নয় ইকবাল মেম্বার

কামরুল ইসলাম

লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলা অরি খাল থেকে যেই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে এই বালু উত্তোলনের সাথে আমি ইকবাল মেম্বার কোন প্রকার জড়িত নই। অথচ কে বা কারা সাংবাদিক কে মিথ্যা ও বিত্তহীন তত্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন আমি এই অপপ্রচারের তিব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি৷ তিনি আরও বলেন কে বা কারা এই বালু উত্তোলন করছে বৈদ কি অবৈধ তা ও আমি জানিনা। কিন্তু এলাকাবাসী বলেন স্থানীয় কয়েকজন মিলে এই বালু উত্তোলন করছে যার সাথে ইকবাল মেম্বারের কোন প্রকার সম্পর্ক নেই অথচ এই বালু উত্তোলনের কারণে ভাঙতে পারে অরি খালের উপর নির্মিত ব্রিজ, কালভার্ট, খালপাড়, মানুষের ঘরবাড়ি। বিলীন হতে পারি কৃষি জমি ।এই বালু যারা উত্তলন করছে জাইগা টা মনে হয় বালু উত্তোলন কারিদের খতিয়ান ভুক্ত। যাই হোক এই বিষয়ের সাথে ইকবাল মেম্বার কোন প্রকার জড়িত না থাকলেও কে বা কারা ইকবাল মেম্বারের নামে অপপ্রচার করছেন তা আমরা জানিনা। বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে কিছু স্থানীয় জনসাধারন । এইটা জানি তারা বালু ব্যবসায়ী এই বালু সম্ভবত সরকারের অনুমোদন ছাড়া ড্রেজার মেশিন দিয়ে লেয়ারের নিচের বালু উত্তোলনের কারণে হয়তো বা খালের আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা ঝুঁকির মুখে পড়তে যাচ্ছে ।

স্থানীয়রা আরও বলেন , অনতিবিলম্বে বালু উত্তোলন বন্ধ না করলে অরি খালের ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হতে পারে কয়েকটি গ্রাম।লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের নয়া পাড়ার ১০ থেকে ১৫টি বাড়ি খালে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন কয়েকটি ব্রিজ ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে । ব্রিজের ৫০০ মিটারের মধ্যে খাল থেকে প্রতিদিন ট্রাকে ট্রাকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে । অথচ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (১৯৯৫ সনের ১ নম্বর আইন) অনুযায়ী সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারেজ, বাঁধ, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা থাকলে অথবা আবাসিক এলাকা থেকে সর্বনিম্ন এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এখানকার স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী জনসাধারণ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করে তা দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে।প্রতিদিন শত শত ট্রাক বালু বিক্রি চলে এখানে। প্রতি গাড়ি থেকে তারা নেয় ৭০০ টাকা করে। আর এতে প্রতিদিন আয় করছে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা করে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক বলেন, সর্বনাশা বালু উত্তোলনের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা এই বিষয়ে( ইউ এন ও)মহোদয় এবং (এসিলেন্ড)মহোদর জানেন।আরও জানা গেছে, যারা পরিচালনা করেন তাদেরকে কিছু বলা যাচ্ছে না কারণ জায়গা টা সম্ভবত তাদের খতিয়ান ভুক্ত। আরও জানা গেছে, এ অঞ্চলের পাঁচটি পয়েন্ট থেকে বালু উত্তোলন করা হয়। আর এসবের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কে বা কারা। ভাঙনের ঝুঁকিতে থাকা স্থানীয়রা জানান,অবৈধ, বৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন থেকে ইতোমধ্যে লোকদেখানো ব্যবস্থা গ্রহণের কথা শোনা যায়। কিন্তু জোরালো কোনো পদক্ষেপ না নেয়ার কারণে বালু ব্যবসায়ীরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ক্রমান্বয়ে ভূমিহীন হয়ে পড়বে তিন গ্রামের মানুষ।